সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে অভিজিৎ চৌধুরী (পর্ব – ৪০)

না মানুষের সংসদ

বিমূঢ় নন্দ মাস্টার বললেন,
ইতর প্রাণিদের রাজ্যে গণতন্ত্র ! কিন্তু কেন ? এই সভ্যতা মানুষকে কিছুই দেয়নি ।
এইসময় কোত্থেকে টোপর ইঁদুরও টেবিলের ওপর হাজির হল ।
টিকটিকি বলল,
আমরা লোভী মানুষদের দ্বারা বারবার আক্রান্ত হচ্ছি । আপনি জানেন স্যার – কতো কতো প্রজাতি মানুষের প্রযুক্তির নির্বিচার ব্যবহারের কারণে লুপ্ত হয়েছে ।
টিকটিকির যুক্তি অকাট্য । নন্দ-মাস্টার মেনেও নিলেন । কিন্তু তবু বললেন –
মানুষের গণতন্ত্র বিভিন্ন কু-যুক্তিতে ভরা । এছাড়া তোমাদের ক্ষেত্রে কার্ল মার্কসের সমাজতন্ত্রও মন্দ নয় । আর সমাজতন্ত্র তো বিদেশে রয়েছে ।
তখন টিকটিকি বলল – সে তো অপব্যবহারের কারণে এখন প্রায় লুপ্ত ।
এটাও স্বীকার করলেন নন্দ-মাস্টার । তারপর বললেন –
আমার কাছে কি চাই তোমার !
টিকটিকি সবিনয়ে বলল –
সংবিধানের প্রস্তাবনা ও মৌলিক অধিকার – আপনার কাছ থেকে পাঠ নেবো ।
নন্দ-মাস্টার বললেন,
বুঝলে হে – আমি হলুম গিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষক । আর এ হচ্ছে গিয়ে রাজনীতি বিজ্ঞান । সোনার পাথর বাটি হে ।
টিকটিকি এবার করোজোড়ে বলল –
মহাত্মন, আপনার মতন শিক্ষক থাকতে আমি পরের দোয়ারে যাব !
নন্দ-মাস্টার কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন । তারপর বললেন,
আমি তোমায় স্মৃতি এবং সাধারণ জ্ঞান থেকে যতোটুকু জানি বলব – চলবে তো !
হ্যাঁ । গদগদ কণ্ঠে উত্তর দিল টিকটিকি ।
দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়লেন নন্দ-মাস্টার । মার্কসের নিপীড়িতের শাসন ওদের মধ্যে চলবে কি! ওদের জগতে মুনাফা কি উদ্বৃত্ত শ্রম!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।