কবিতায় সুশোভন কাঞ্জিলাল

প্রভুর বিপ্লব

প্রভুর তিন নম্বর ছেলের নাম রাখা হয়নি এখনো..
লক আউট কারখানার মজদুরের কাছে ওতো বিলাসিতার স্পৃহা কই?
দুধের বাচ্চা দুধ খায় শুধু, কিন্তু বুকের কারখানাও লক আউট হোলো বলে!
সরবরাহ ছাড়া উত্পাদন শুধু খাতা কলমে সম্ভব..
তিন দিন বাড়িতে চুলা জলে নি যে..
তার মধ্যে দশ বছরের বড় ছেলেটা জোর করে মায়ের বুক টেনে ছোটো ভাইকে বঞ্চিত করেছে!
মেজো ছেলেটা বোকা বলে মা নিজেই দু ঢোঁক টেনে খাইয়েছে..
মা তো সবার তাই কাউকে বঞ্চিত করতে পারেনা..
প্রভুর পেটের জ্বালা তিনদিনে পাশবিক হয়ে ওঠে..
কামের অছিলায় সেও বৌ-মার বুক চুষে খেয়েছে…
কিন্তু কারখানার উত্পাদন তো কাঁচা মাল ছাড়া সম্ভব নয়..
চতুর্থ দিন মজদুর প্রভু নিজের অস্তিত্ব বুঝেছে..
সে বুঝেছে কারখানার মালিক হোলো বুর্জোয়া!!
দামী সম্পত্তির একাধিপত্য অমানবিক!!
পঞ্চম দিন প্রভু তিন বাচ্চাকে বাড়ি থেকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো..
দরজায় বাইরে থেকে সমাজ-তান্ত্রিক ছিটকিনি দিয়ে..
কারখানা সর্বসাধারণের সার্থে বিলগ্নীকরণ হোলো!
মজদুরদের আর দুঃখ থাকল না বোধহয়?
কারখানা মানবকল্যাণে নিজের সবটুকু বিকিয়ে দিলো?
পেটে ভরপেট ভাত দশম দিনে পঁচে আমেজ দিলো… প্রভু তার তিন নম্বর ছেলের নাম মায়ের নাম বিলাসী মিলিয়ে রাখলো বিপ্লব!!!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।