সম্পাদকীয় নাকি… !

বধির ও পরাণে….

না, সেও আর পিছন ফিরে তাকায় নি। আমিও আর বৃথা চেষ্টা করি নি। উড়িয়ে দিয়েছি বদ্ধ এই খাঁচা থেকে। যদিও বা যাবার বেলায় শেষ বারের মতো এক মোহময়ী আপন দৃষ্টিতে চেয়ে ছিল সে আমার দিকে। ভেবেছিলাম আমিও উড়ে যাবো। কিন্তু..
হাজারো ব্যথা বেদনা বাদ দিয়েই উড়িয়ে দিয়েছিলাম তাকে। এক আকাশ জুড়ে নীল সমুদ্রের মাঝে ডানা মেলে উড়ে বেড়াক সে। আমি নাহয় শুধুই দর্শক হয়ে দেখবো। তাই কম কি বলুন। সবাই যে এরকম প্রাণ জুড়ানো দৃশ্য ও লক্ষ্য করতে পারে না। এই বড়ো বড়ো কংক্রিটের মাঝে বিশাল আকাশ, সাদা মেঘ বড়ই যে বেমানান। তবুও কোনো এক ফাঁকা মাঠে উড়িয়ে দিয়েছি তাকে।
কোনো এক গভীর অন্ধকার রাতে চারিদিকে যখন ফানুস উড়ে বেড়াবে, আলোর সাগরে ঝলমল করে উঠবে সেই আকাশ, তার মাঝে চিলতে একটু দেখা পাবো উজ্জ্বল এক আলোর মতো। সেই মায়াবী দৃষ্টি সেই মন ভোলানো হাসি। আহা!
তাকিয়ে থাকবো মন্ত্র-মুগ্ধের মতো। যেন কোনো এক নেশা ভর করে রয়েছে। কিন্তু…
অথবা কোন এক শীতের সকালে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে যখন সূর্য্য সোনালী আভা নিয়ে মুখ তুলবে, আবারও সেই একচিলতে দেখা। আবারও চারিদিকে ভোরে উঠবে সেই নেশা। শিরায় শিরায় বইবে উত্তেজনার স্রোত। মনে মনে তখন,
” তারে ধরি ধরি মনে করি, ধরতে গেলেম আর পেলেম না!
দেখেছি, দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা।” কিন্তু…
খালি কিন্তু, কিন্তু, আর কিন্তু, এই কিন্তুর ভিরেই হারিয়ে যাবে একদিন সব। ক্লান্ত অবসন্ন মন বলতে চাইবে, কিন্তু পারবে না…
সবটা সামলে নিয়ে আবারো কোনো এক গভীর রাতে যখন ঝলমলে ওই আকাশ জুড়ে জ্বলবে নিববে কতো গুলি তাঁরা ও একফালি চাঁদ, ঠিক তখন ই আবার সেই মন ভোলানো হাঁসি, মোহময়ী চাহনি। যদিও বা সেই আমি তখনো শুধুই দর্শক। তবু মন বলবে,
” আমার হাত বান্ধিবি পা বান্ধিবি , মন বান্ধিবি কেমনে?
আমার চোখ বান্ধিবি, মুখ বান্ধিবি, পরান বান্ধিবি কেমনে?”
অনিন্দিতা ভট্টাচার্য্য
(সহ সম্পাদক) 
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।