যখন আকাশের মুখ ভার করে ঘনিয়ে আসে কালো মেঘ, গর্জে ওঠে হাজারও জলরাশি, মনের কোণ ও যেন তখন ফুলে ফেঁপে ওঠে। মেঘেদের ফাঁকে চমকে ওঠা আলোর ঝলকানিদের মতোই হৃদয় ও যেন স্পন্দিত হয়। প্রকৃতি থম মেরে থাকার পর যখন হঠাৎ এক দমকা হাওয়া উথাল-পাথাল করে দেয় চারপাশ, সেরকম মনেরও যেন তখন ভরা শ্রাবণ।
তারপরে দুকূল ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি আসে, প্লাবন ঘনায় সারা শরীর জুড়ে। বৃষ্টির প্রত্যেকটা ফোঁটায় শিহরণ ওঠে। দমকা হওয়ায় উড়ে যায় আমার ঘরের পর্দারা। আবছা কাঁচে যেন লিখতে ইচ্ছা করে না রচনা করতে পারা উপন্যাসদের। যাদের প্রত্যেকটা পাতায় লিখতে চেয়েছিলাম কিছু রসায়ন। সেদিন ও এরকমই ঝড় উঠেছিল, দুকূল ছাপিয়ে প্লাবন এসেছিল। ভেসে গেছিল আমার প্রত্যেকটা উপন্যাসের পাতা।
তারপরেও, বৃষ্টি আমি তোমাকেই চাই। আমার প্রত্যেকটা অক্ষমতায় যে এভাবেই সিক্ত করে যাবে বারংবার। বাইরের ঝড়ে যাওয়া বৃষ্টি ফোঁটাদের ছুঁয়ে দেখবো মনের আচ্ছন্নতায়। ঠিক এরমই এক ভরা শ্রাবনে যেভাবে ছুঁতে চেয়েছিলাম তোমায়…