১
কখনো কখনো শোকতাপ মুছে ফেললে আরও ফুটে বেরিয়ে আসতে চায়। যেন সে ফুরোতেই চায় না!
গভীর হয় ক্ষত।
আর ক্ষত গভীর হলেই নাড়ীনক্ষত্র তোলপাড় করে দেয় বেহিসাবি দীনতা।
কোনোকিছুর তোয়াক্কা না করেই সে বুঝে নিতে চায় নিজের পাওনাগন্ডা।
তখন দুচোখের পাতা এক করে দিয়ে নিমেষে নেমে আসে উড়নচণ্ডী স্বপ্ন।
ঈশ্বরের দূত পাশে এসে বসলেই ঈষৎ চঞ্চলতায় পাশ ফিরে দেখি কখন ভোর হয়ে গেছে!
২
সাত সতেরো চাওয়ারও কত রঙ!
পথ এত দীর্ঘ যে শেষ হতেই চায় না..
অনির্বাণ প্রশ্রয় আর নিষ্পাপ শিশুর মতো নিভৃত স্পর্শে আমি ত্রয়োদশবর্ষীয়া হয়ে যাই বার বার!
৩
জ্বরে পোড়ে নবমীর বিকেল।
ধূসর মায়াবী আলোয় ঘোলাটে চোখে চেয়ে দেখি বিসর্জনের বাজনা বাজছে, অথচ আমার খোঁজ করেনি কেউ !
উৎসব শেষে সাত পাগলের ঘরে আজ কত বেমানান আমি!