এই মনে করো রূপকথাগুলো
ধুলো ঝেড়ে উঠে ঘুমিয়ে পড়লো ,
এই মনে করো কাদামাখা জুতো
এক হাঁটু জলে মাথায় চড়লো।
আসলে এসব বৃষ্টির কথা
শ্রাবণের মেঘে ঘাপটি মেরেছে ,
ভাঙা চুল্লির আগুন বাঁচিয়ে খিচুড়িটুকুই রাঁধতে পেরেছে ।
বনগাঁ থেকে ফেরবার পথে , কতদিন বাদে হৈ হৈ করে বারাসতে নেমে পড়লাম। আঠাত্তর নম্বর বনগাঁ-শ্যামবাজার বাস থেকে নেমে , চাঁপাডালির মোড় থেকে কলোনির মোড় ছুঁয়ে সেই নবপল্লীর কাঁঠালতলায়। রাস্তা থেকে গাছপালার ছায়া ঘেরা গলি পেরিয়ে , মাসিদের ভাড়াবাড়ির গেট। গেট পেরিয়ে আবার বাড়িওয়ালার টানা লম্বা বাগান । বাগানের শেষে বিশাল বারান্দাওয়ালা দোতলা বাড়ি , যার একতলায় মাসিরা থাকে । রাস্তায় আমাদের রিক্সা থেকে নামতে দেখেই , ফ্রক পরা ছন্দা , মায়ের থেকে তিন বছরের ছোটো বোন মাসি , আর সন্তান হারিয়ে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া একগাল কাঁচাপাকা দাড়ির ছোটোমেসো গেট পর্যন্ত ছুটে এলো । আমরা আকাশ ভরা বৃষ্টি মাথায় করে এসেছি। মাসিরা তিনজন আম কাঁঠাল আর নানা রকম ফুলের গাছ পেরিয়ে , বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আমাদের সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে যেন জড়িয়ে ধরলো । ছন্দা ওর ধপধপে ফর্সা হাত দুটো দিয়ে দিদিকে আর আমাকে ধরেছে , মায়ের কাঁধে মাসির হাত , আর ছোটোমেসো শিশুর মতো তার বড়ো ভাইরাভাইয়ের বুকের মধ্যে মুখ গুঁজে দিয়ে , শিশুর মতো ভেউভেউ করে কেঁদে বললো — সমু চলে যাওয়ার পর আপনার লেখা সেই চিঠি , আপনার প্রিয় খুকু তার হারমোনিয়ামের বাক্সের মধ্যে যত্ন করে রেখে দিয়েছে , রোজ একবার করে পড়ে । আমরা চিত্রার্পিতের মতো বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে , দুজন আবেগপ্রবণ মানুষের কান্না দেখতে দেখতে , বৃষ্টির জলে , চোখের জলে একাকার হয়ে যাচ্ছি । দুই রিক্সাওয়ালা মালপত্র বারান্দায় নামিয়ে রেখে , সামনে এসে মাথা নিচু করে দাঁড়াতেই , বাবা আর মেসো যেন বাস্তবে ফিরে এলো । বাবা এ বাড়িতে চব্বিশ ঘন্টা কাটিয়ে , পরের দিন , মানে সোমবার , মেসোর সঙ্গে কলকাতায় চলে গেলো অফিস করতে। মেসো কলকাতা কর্পোরেশন আর বাবা রাইটার্সে । ওইটুকু সময়ের মধ্যে মাসি , তার হৃদয় উজাড় করা গান , আর নানারকম রান্নায় রান্নায় প্রিয় দাদাবাবুকে যেন সবটুকু শ্রদ্ধার সুধা ঢেলে দিলো । সমুর কথা উঠতেই বাবা মাসির মাথায় হাত রেখে বললো — খুকু , ওকে ওর খেলার জগতেই থাকতে দে ।জানিস তো , মহাকাশে একটা দোলনা আছে । যে শিশু কিশোররা অকালে চলে যায় , তাদের মায়েরা সন্তানকে সেই দোলনায় ঘুম পাড়িয়ে দেয় । আর কবেকার সেইসব ঘুমপাড়ানি গান শোনায় ।কথাগুলো শুনতে শুনতে , ছন্দার রিনরিনে গলাটা যেন ডুকরে কেঁদে উঠলো।এক হাতে আমার হাতটা জড়িয়ে কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই গেয়ে উঠলো — ঘুমিয়ে ছিলাম মায়ের কোলে , কখন যে মা গেলো চলে , সবাই বলে ওই আকাশে , লুকিয়ে আছে খুঁজে নাও , ও তোতাপাখিরে.. শেকল কেটে উড়িয়ে দেবো , মাকে যদি এনে দাও , আমার মাকে যদি এনে দাও…..
ঠিক সেই মুহূর্তে আমার থেকে ঠিক ছ’মাসের ছোটো বোন ছন্দাকে দেবী সরস্বতী মনে হচ্ছিলো ।মনে হচ্ছিলো , বড়ো হয়ে ও যদি সন্ধ্যা মুখার্জি , লতা মঙ্গেশকার বা নির্মলা মিশ্রের মতো সঙ্গীতশিল্পী না হতে পারে , তবে মামার বাড়ির গানের ঘরানাটাই যে মিথ্যে হয়ে যাবে ! মা , মাসি , মণিমামার পরে তাহলে আর কে ?
ছোটোমাসি গানের ধারে কাছেও এলো না , আর আমার দিদি তো বড়ো কত্থক নৃত্যশিল্পী হবে । আমি তো কবিতা পাগল ! তাহলে গানের কি হবে ? এই যে চেতলা , বারাসত আর দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতে তিন তিনটে ডবল রিডের পাকড়াশি কোম্পানির হারমোনিয়াম , তারা কি তবে বাক্সের মধ্যে চিরদিনের জন্যে ঘুমিয়ে পড়বে ? ছন্দাকে শত অনুরোধেও আর একটাও গান গাওয়ানো গেলো না। শুধু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো ।দেওয়ালের ছবি থেকে হাসিমুখে সমু কতবার বোঝালো– দিদি , কাঁদিস না , ক়াঁদিস না , আমি তো সব শুনছি ,আমি তো সবার মধ্যেই আছি রে।চোখের জল মুছে রেডিওতে নিয়মিত গান গাওয়া আমাদের মাসি , মায়ের অনুরোধে ধরলো কী অদ্ভুত মিষ্টি একটা গান — যাবার বেলায় পিছু থেকে ডাক দিয়ে কেন বলো কাঁদালে আমায় , আমার এ মন বুঝি মন নয় , যাবার বেলায়…. স্মৃতির আকাশ থেকে কোনোদিন , হয়তো আমায় তুমি মুছে দেবে , স্বপ্নের রঙে যত ছবি আঁকা হলো , চোখের জলেতে মুছে যাবে ; যা-কিছু গিয়েছে পাওয়া , সে আমার নয় ; যাবার বেলায় ……
তারপর গান শেষ হলে , মা’র দিকে মিনতি ভরা চোখে বললো — বড়দি, তুই অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির গানের বইটা এনেছিস ? দিদি ব্যাগ থেকে বার করে দিতেই , মাসি আশ্চর্য গানটা ধরলো — চম্পা চামেলী গোলাপেরই বাগে , এমন মাধবী নিশি আসেনি তো আগে , চম্পা চামেলী……
শেষ হতেই মাসি আবার বললো — বড়দি , ওই গানটা কর ! ওই গানটা– মা যেন চোখের ভাষা বুঝে নিয়ে আবার হারমোনিয়ামের রিডে আঙুল রাখলো — আমি তটিনী সম তোমারই সাগরে মিশে যাই , তুঁহু মম মন প্রাণ হে …
আমরা সবাই যেন আবার নিজেদের মধ্যে ফিরে এলাম । তিনটে দিন এখানে-ওখানে বেড়ানো , আর মাসির হাতের রান্না খেয়ে , রাত দুটো-তিনটে পর্যন্ত বাইরের খোলা বারান্দায় লুডো খেলে , আমরা যখন বাড়ির বাগানে বেদনায় নুয়ে পড়া বেলি ফুলের গাছগুলোতে নতুন কুঁড়ি , নতুন ফুল জাগিয়ে দিলাম , আর বাগানটা যেন থমথম করতে লাগলো বেলি ফুলের গন্ধে গন্ধে , ঠিক সেই সময় বাড়িওয়ালি মাসীমার একমাত্র মেয়ে , পরমা সুন্দরী বীথিদি একঢাল খোলা চুল নিয়ে , বাইরের ঘরে এসে বসলো , মা আর মাসির গান শুনতে ; দিদি তুই বিশ্বাস কর আমি বীথিদির দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম — মানুষ এত সুন্দর দেখতে হয় !
দক্ষিণেশ্বরে ফেরবার দিন , দোতলার মাসিমা আমাদের জন্য যত্ন করে গাছের আম পাঠিয়ে দিলেন । আসলে হিমসাগর , কিন্তু স্থানীয় নাম ভুতোবোম্বাই । বাড়ি ফিরে তালা খুলতে খুলতে শুনলাম, পাশের বাড়ির পাকা বুড়ি চেঁচিয়ে দিদিকে বলছে — এই শিখাদি , আমি একটা গান তুলেছি , শুনবি ? মা বললো– কোন গান রে বুড়ি ? বুড়ি অবলীলায় যেন ঝর্ণার মতো , ওর চার বছরের গলায় গেয়ে উঠলো — নিজুম সন্দ্যায় পান্ত পাখিলা বুঝিবা পত ভুলি যায়….
হঠাৎ যেন সন্ধ্যা এবং বৃষ্টি দুটোই বুড়ির গানের সুরে আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে গেলো । মা ভিজতে ভিজতেই বললো– ও বুড়ি ,তুই একদিন মস্ত বড়ো গায়িকা হবি রে । খুব সুন্দর গেয়েছিস ।অনেক আম এনেছি। তোরা খেতে আসিস কিন্তু !
সেদিন রাতে , শোবার আগে দিদিকে একটা অদ্ভুত প্রশ্ন করে বসলাম আমি — আচ্ছা দিদি , তুই বাবার দিককার সব আত্মীয় স্বজনদের চিনিস ? দিদি অবাক হয়ে বললো — হ্যাঁ ,অবশ্যই চিনি । কেন বলতো ? আমি নির্ভেজাল বোকাবোকা চোখে বললাম — আচ্ছা , আমরা কেন বামুনগাছি , নিউ ব্যারাকপুর , হালিশহর , মধ্যমগ্রাম ,খড়্গপুর বা ঢাকুরিয়াতে বেড়াতে যাই না ? এই জায়গাগুলোতে তো বড় জ্যাঠামণি , সেজ জ্যাঠামণি , মেজ জ্যাঠামণি , কাকু , দাদাদিদিরা থাকে । তাদের কাছে কেন যাওয়া হয় না আমাদের ? শুধু দিদি দাদাদের বিয়ে হলে নেমন্তন্ন খেতে যাবো ? তাহলে তো একদিন বড়ো হয়ে কেউ কাউকে চিনতেই পারব না ! ট্রামে বাসে ট্রেনে দেখা হলে হাঁ করে তাকিয়ে থেকে ভাববো , খুব চেনা চেনা অথচ….
দিদি এবার আমার ভেতরের চাপা দুঃখটাকে যেন বুঝতে পেরে , আমাকে কাছে টেনে নিলো । তারপর মাথায় গালে হাত বুলিয়ে বললো– ঝন্টু , তুই তো বড়ো হচ্ছিস , একটা ব্যাপার খেয়াল করছিস না ? মার অসুখে আমাদের গোটা সংসারটা কেমন তালগোল পাকিয়ে গেছে । তাই , আমাদের পৃথিবীটা এখন চেতলা , বনগাঁ , বারাসতেই আটকে গেছে , আর জ্যাঠতুতো দাদাদের মধ্যে , হালিশহরের মন্টুদা , ঢাকুরিয়ার মেজদা মাঝেমধ্যে আসে তো ! বিশেষ করে ঢাকুরিয়ার মেজদা একদিন আমাদের বাড়িতে থেকে , কলকাতার কলেজে পড়াশোনা করতো , আর ন’কাকা–কাকিমাকে দেবতার মত ভালবাসতো । সেও তো এখন বোস ইনস্টিটিউটে চাকরি পেয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে । কিন্তু আপনজনেরা সবাই আপনই থাকে রে ! আসলে আমাদের বাবা , মায়ের অসুখটা নিয়ে কাউকে ব্যতিব্যস্ত করতে চায়নি । কি হবে বলতো সবাইকে এনে জড়ো করে ? বিপদটা তো আমাদেরই সামলাতে হবে । তাদের বাড়িতে যে বিপদগুলো ঘটছে , আমরা কি তার খবর রাখছি ? আমি আকুল হয়ে বললাম — রাখবো কি করে ? আমাদের বাড়িতে তো ফোন নেই । দিদি বললো– ঠিক বলেছিস , তবে একদিন দেখবি , ফোন সকলের বাড়িতে বাড়িতে চলে আসবে ।আমি বললাম — ধ্যাৎ , তাই আবার হয় নাকি ? ফোন তো শুধু বড়লোকদের বাড়িতেই থাকে , পোস্টঅফিসে থাকে । আমাদের বাড়িতেও ফোন আসবে ? দিদি বিজ্ঞের মত মাথা নেড়ে বললো — আমি কাগজে পড়েছি , আগামী কুড়ি বছরের মধ্যে সবার বাড়িতে বাড়িতে ফোন চলে আসবে । তার মানে তুই ইচ্ছে করলেই , নিউ ব্যারাকপুর , বামুনগাছি ঢাকুরিয়া , হালিশহর মধ্যমগ্রাম , খড়্গপুর আর বনগাঁয় হ্যালো হ্যালো করে কথা বলতে পারবি। নাছোড়বান্দা আমি তবু দিদির হাত দুটো ধরে বললাম — বাবারা পাঁচ ভাই দু বোন যশোরের বাড়িতে একসঙ্গে বড়ো হয়েছে। তাইতো ? বাবার প্রিয় সেজদা , মানে ছ’ফুট দু ইঞ্চি লম্বা যশোরের সব থেকে নামকরা ফুটবল খেলোয়াড় , মনা বোস , যার ঠিকানা লেখা পাস থেকে বাবা অজস্র গোল করেছে , যে ছোটো কাকুকে বাবা জ্যাঠারা কোলে পিঠে করে মানুষ করে তুলেছে , যে বড়দা মেজদাকে বাবা দেবতার মতো ভক্তি করতে শিখেছে , ছোটোবেলা থেকে , যে দুই দিদি ফুটবলের সাজ সরঞ্জাম ব্যাগে গুছিয়ে না দিলে , দুই ভাইয়ের খেলার মাঠেই যাওয়া হতোনা , যে বৌদিরা মায়ের স্নেহ দিয়ে বাবাকে আগলে রেখেছিলো , দেশভাগের পর যশোর থেকে চলে এসে সবাই যে যার মতো ছিটকে গেলো ! বাবা নিজের সংসারটাকেই ….
আচ্ছা দিদি , তাহলে রক্তের টান কাকে বলে ? আমার চোখে জল টলটল করে উঠলো । যাদের সঙ্গে একসাথে বড়ো হলাম , তারা পর হয়ে গেলো ? শুধু আমাদের পাঁচজনের সংসারটাই সব ? দিদি , আমাদের বাবা মা কি স্বার্থপর ? দিদি আবার যেন আমার মা হয়ে উঠে , ঠেসে ঠুসে আমাকে ঘুম পাড়াতে পাড়াতে বললো– ঝন্টু সোনা , তুই যখন অনেক বড়ো হবি,দেখবি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা কত উন্নত হবে তখন । সেদিন , আমরা সবাইকে যশোরের বাড়িটায় ডেকে এনে , ছোটো করে হলেও একটা দুর্গাপুজো শুরু করবো । আমরা বাবা কাকু জ্যাঠা জেঠি আর সব ভাইবোনেরা , যশোরের রেলবাজারের স্টুডিওতে গিয়ে একসাথে ছবি তুলবো । ঝন্টু , তুই তো পড়ে দেখিসনা , আমি কিন্তু আত্মীয় স্বজনের প্রত্যেকটা পোস্টকার্ড , ইনল্যান্ডলেটার মার অনুমতি নিয়ে পড়ি । আমি ঘুমের মধ্যে তলিয়ে যেতে যেতে বললাম– দিদি , একদিন তুই আমি দাদাও কি সংসারী হয়ে একে অপরকে ভুলে যাবো ? আমি তো অনেক বয়স হয়ে গেলেও তোর বকুনি ছাড়া , দাদার কবিতা ছাড়া বেঁচে থাকতেই পারবো না। তখন কী হবে ? তুই তো শুনেছি এমন বর পছন্দ করিস , যে সারা ভারতে চাকরির জন্য বদলি হবে , আর তুইও তার সঙ্গে খুব ঘুরে বেড়াবি । দাদা হয়তো বিদেশে চলে যাবে। আমার কী হবে ? দেখিস , আমি হয়তো মা’র অসুখটা নিয়ে হাসপাতালেই পড়ে থাকবো । দিদি আমার কপালে চুমু দিয়ে বললো — তুই বড্ড বেশি ভাবিস রে ঝন্টু। একদিন তুই অনেক কিছু লিখতে পারবি । এগুলো সব মনের মধ্যে জমিয়ে রাখ।জানবি , মনই সব থেকে বড় লেখবার খাতা , আর ডায়েরীর পাতা । খাতায় লিখলে হয়তো অতদিন থাকবে না । তাই মনের পাতায় লিখে লিখে রাখ।আমিও তো রাখছি । বাবার মুখে শুনিস নি সেই রবিঠাকুরের কবিতা — রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে..
এত দুঃখ দুঃখ কথার পরে , ঘুম আমাকে হঠাৎ ঠেলা দিয়ে বললো — ঝন্টু, এই সুযোগ — দিদিকে একটা ঠোনা মার। সঙ্গে সঙ্গে আমিও ফিক করে হেসে বললাম — তুই ভুল শুনেছিস । ওটা হবে — দিনের সব তারাই থাকে রাতের আলোর গভীরে।দিদি থতমত খেয়ে রীতিমতো ধমক দিলো — এই জন্যেই তোর কিসসু হবে না । সারাজীবন তোর কানমলা খেয়ে কাটবে ।
যত্তোসব ভুলভাল কথা ! এবার চুপ করে ঘুমিয়ে পড়…