হৈচৈ অনুবাদ কাব্যে অসীম ভট্টাচার্য (মূল – ড.সুনীল কুমার শর্মা)

চেয়ার

মেজাজ আনে চেয়ার
এবং উন্মাদনাও
জাগায় অহংকার।
চেয়ার ছোটো,
রাগও ছোটো;
মাঝারি মাপ চেয়ার,
মাঝারি তার রাগও;
বড়ো চেয়ার দারুণ খামখেয়ালি,
রাগ যেন তার চরম চণ্ডালী।
চেয়ার গুনগুনায়,
সুখের কলি গায়,
মাঝে মাঝে অট্টহাসে,
অনেক গল্প শোনাবে সে,
নিজে নাকি চিত্রশিল্পী, বলে,

যে-জন বসে এই চেয়ারে
অজানা রঙ ভিতর ভরে,
প্রায়শ দিই চরিত্র বদলে।

আরও বলতে থাকে চেয়ার,

খালি আসন পাওবা যদি
টপ করে নাও দখল গদি,
নইলে নাগাল মিলবে না আর তার।
ধরলেই কি ধরতে পার
হাত ফস্কায় তো প্যান্টটারও
পায়জামা কোন ছাড় ।

গুমর যেন ঊর্বশী সে
সবাই মরে তার লালসে,
মহাভারত তো কতবারই
করিয়ে নিল এমন কারবার –
গদির শুধু লোভটা দরকার।

লোভ যখনই জাগবে মনে
আসবে তখন মোড় চেতনে,
জট পড়ে যায় সংবেদনে
নতুন কুরুক্ষেত্র তারপর ।

উচ্ছ্বাসে এই চেয়ার থেকে
অদ্ভুত রায় আসতে থাকে,
গুরুগম্ভীর চেয়াররা সব
গোমড়া মুখে পড়বে তাকে।

এখন ভাগ্নে ব্যাতিরেকে,
শকুনী মামা পেলেই সুযোগ
নিজেই আসন করবে যে ভোগ।
দুর্যোধনরা দেখতে থাকে
ক্ষণে ক্ষণের বদলটাকে
চেয়ারের এই আজব খেলাটার।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।