Cafe কলামে – আত্মজ উপাধ্যায় (পর্ব – ৪২)

নরনারীর যৌনপরিষেবা-৩৪

চীন ভারতের চেয়ে অনেক অনেক উন্নত, সেখানকার নাগরিকরা আর যাই করুক কারুর স্বাভাবিক জীবন- রুটি-কপড়া-মকান এসবের অভাবে কষ্ট পায়না। চীন মনে করে পশ্চিমী ভাবনা হল সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে কিছু মানুষের জীবন সমৃদ্ধ হোক।
এটা বাস্তব সত্য, যে বিদেশি কোম্পানীগুলি ভারতে আছে বলে ভারতে গত তিন দশক ধরে আর্থিক কাঠামোর উন্নতি হয়েছে। যেমন ধরুন আমেরিকা , জাপান ফ্রান্স ইত্যাদি আমেরিকান কোম্পানীগুলি Amazon, Citibank, Coca-Cola, Ford India, Google, American Express, Pepsico, Hewlett Packard, IBM, JP Morgan Chase, Adobe Systems Incorporated, Apple Inc., Microsoft Corporation, Cognizant, Oracle এরকম শ দুয়েক আছে, আরো হয়ত বাড়বে। কোম্পানীগুলি প্রতি বছর সরকারকে ৪০ % কর দিয়েও গড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে।
আমেরিকাতে ৩৩ কোটি লোক সারা পৃথিবীকে শুষে নিয়ে তাদের সম্পদ বাড়াচ্ছে। পৃথিবীতে এরাই ধনী, এরপর হয়ত চীন। কিন্তু চীনের লোকসংখ্যা ১৪৫ কোটি। ভারতের চেয়েও বেশি। ভারতের গণতন্ত্র মানে প্রশাসন ও আমলা তন্ত্রের সরকারী কোষাগার লুট করার।
ইতিহাস বলে ইংলিশ জাতি সারাপৃথিবীকে গরু ছাগলের মতন মনে করত। ভাবুন ১০০ বছর আগেকার পৃথিবী বা তারো আগের। ক্রীতদাস প্রথা। ভাবুন উপনিবেশিক শোষণ।
আমেরিকার মহিলারাও ভাবে তেমন। পুরুষরা হল তাদের ক্রীতদাস। পুরুষকে শোষণ করার নাম জীবন ফলে বিয়ে তারা মানতে চায়না। কিন্তু যৌন সহবাসে না নেই। আর যার সাথে যোনি পেতে শুবে তার জীবন শুষে খাবে। না শোষণ করতে পারলে তাকে জেলে দেবে।
আপনি উদাহরণ চান?
ইংরেজিতে একটা শব্দ আছে- সেক্সুয়ালাইজেশান। তার বাংলা মানে দাঁড়ায় যৌনতা দিয়ে মুড়িয়ে ফেলা। বাংলাতে আমি একটা শব্দ বানিয়েছি যৌনমোড়কীকরণ। অর্থাৎ যৌনতা হল মোড়ক তার ভেতরে মহিলা থাকেন। মানে মহিলাকে যেভাবেই একটা পুরুষ দেখবে তার পুরুষাংগ উত্থিত হতে বাধ্য। এবার পুরুষ শিকারী জাত,লক্ষ লক্ষ বছর ধরে শিকার করে এসেছে, বিবর্তনে তার জীবন যতই পাল্টাক, নারী শরীর দেখলে, অনুভব করলে তার বীজ বপনের ইচ্ছা জাগে। দ্রুত যৌনমিলনে রেতঃপাত ঘটার মরীয়া ইচ্ছা জাগে।
ফলে পুরুষ যখনই কোন মহিলাকে ধরে যৌনমিলন করতে যাচ্ছে তখনই নারীবাদী সমাজ তাকে ধর্ষণ বলে আখ্যা দিয়ে তাকে জেলে ভরছে। মহিলারা তাদের পক্ষে আইন বানিয়েছে কেঁদে কেটে, এখন তার অপব্যবহার করছে। তারা অনায়াসে যদি বলে এই পুরুষটি আমাকে ধর্ষণ করেছে, তাহলে পুরুষটি আগে হাজতে যাবে ও তারপর তার উকিল থাকলে প্রমাণ করার চেষ্টা করবে সে ধর্ষণ করেনি। গরীব হলে তাকে সরকার বিচারের আগেই পুলিস দিয়ে গুলি করে মেরে দেবে।
সমস্যা পুরুষের অনেক।বিচার ব্যবস্থা এমনকি সূপ্রীম কোর্টও ন্যায় বিচার দেয়না। ন্যায় বিচারের নামে প্রহসন চলে। বাস্তবিক পুরুষ বেঁচে আছে শত্রুভূমির উপর দাঁড়িয়ে।
আমেরিকাতে যত বিখ্যাত মহিলা, তারা প্রায় সবাই লক্ষ লক্ষ দর্শক বা পাঠককে তাদের যোনি স্তন ইত্যাদি যা ব্যক্তিগত বস্তু বা অংগ তা দেখিয়ে রোজগার করে।

ইসলাম দুনিয়ার মহিলারা যারা সংখ্যা বিশাল বা আমেরিকা ইউরোপের নারীবাদী মহিলা বাদে বাকী দুনিয়ার মহিলারা, ধরে নিন ২০ শতাংশ নারীবাদী, আর ৮০ শতাংশ সারা পৃথিবীর মহিলাদের বোকা বানিয়ে বেঁচে আছে। আর তাদের ইন্ধন যোগাচ্ছে জাতিসংঘ ও প্রতিটি রাস্ট্রের (ইসলাম রাস্ট্র বাদে) প্রায় ১৫০ রাস্ট্র।
২য় অধ্যায়ে বিয়ে করার অনেক কারণ দেখানো হয়েছে। দুটো মূখ্য কারণ হল মহিলাকে একটা পরিচিতি ও সম্পত্তির অধিকার দেওয়া। অর্থাৎ মহিলারা সম্পত্তি বানাতে অক্ষম তাই তাদের কিছু পাইয়ে দেবার জন্য বিয়ে। আরেকটি কারণ হল সন্তান জন্মালে তাকে বৈধ স্বীকৃতি দেওয়া । এছাড়া নৃতত্ত্ববিধ্‌রা অনেক মহিলাদের অনেক অধিকার বিয়ের মাধ্যমে পায় বলে দেখিয়েছেন।
৩য় অধ্যায়ে শ্বেতকেতুর বিয়ে নামক গল্প আছে যা হিন্দু সমাজে অনেকেই বিশ্বাস করেন। শ্বেতকেতু মহিলাকে একজনের অধীনে থাকা কালীন অন্যজন যাতে না নিয়ে যায় যৌনসুখের জন্য তার বন্ধ করার প্রয়াসে বিয়ে চালু করেন। এটা নেহাৎই গল্প।
৪র্থ অধ্যায়ে বিয়ের কারণ দেখানো হয়েছে সন্তানের জন্ম দেওয়া বা বংশকেবৃদ্ধি করার জন্য। ঈশ্বরচন্দ্রের বহু বিবাহ থামানোর আন্তরিক প্রচেষ্টা। এবং সারা পৃথিবীতে বিয়ের পর মহিলারা সংসারে কি করে।

চলবে

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।