বিবাহঃ নারী পুরুষের যৌনমিলনের অনুমতি? – ২৩ টি পর্ব লিখতে গিয়ে আমার অনেক তথ্য জানতে হয়েছে। বিয়ের ১) নিশ্চয়ই এবং আবশ্যিক কারণ সভ্যসমাজের যৌনমিলন, ২) সাক্ষী হিসাবে বেশ অনেক পরিচিত জন থাকে। ৩) কিছু আচার পালন করা হয় যার মাধ্যমে স্বামী স্ত্রীর দুজনের কিছু স্মারক দায়িত্ব থাকে।
কিন্তু দেখা গেছে,আজ থেকে ১০০ বছর আগে যেরকম সমাজ বা সামাজিক ও পারিবারিক মূল্য বোধ ছিল তা আজ নেই। ১০০ বছর আগে বা তার প্রাক্কালে বা আজও অনেক গ্রামাঞ্চলে আদিম ব্যবস্থা প্রচলিত।
আমার ঠাকুরমার বিয়ে হয়েছিল ১২ বছর বয়সে, তিনি বিয়ের পরবর্তী বছর ১০ এর মধ্যে ৪টি সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন প্রায় ৯০ বয়সের উপরে কাল কাটিয়ে মারা যান। প্রচন্ড দারিদ্রতা ছিল। আমার ঠাকুরদা মারা যান বিয়েরবছর ১২ পরে। ঠাকুরমা একা ৪টি সন্তানকে বড় করেন। ঠাকুরমা বিয়ে করেননি। স্বামীকে দেবতা মানতেন।
আমার দাদা, ১৭ বছর বয়সে ১১ বছরের একটি মেয়ের সাথে প্রেম করে পালিয়ে যায়।পুলিশ কেস হয়। উভয়ের বাড়ি থেকে মেনে মামলা তুলে নেয়। তারা আজও দারিদ্রতাকে সংগে নিয়ে ৫ টি সন্তান সহ জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের জীবনে এমনই স্বামী স্ত্রীর বন্ধন কোনদিন পরকীয়া ছায়া ফেলেনি।
এছাড়া আমার এই ৬০ বছর বয়সে, আমিও কম দেখিনি। গ্রামে গঞ্জে অনেক ঘুরেছি। অনেকের জীবন ঘেঁটেছি। খবরের কাগজে পড়েছি।
আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে। পরিবার হল একটা প্রতিষ্ঠান।এখানে পারিবারিক সদস্যদের বয়স, অভিজ্ঞতা ও রোজগার হিসাবে ক্রম ধাপমান পদ সৃষ্টি আছে। যেমন বাড়ির কর্তা যিনি আসল বেশি রোজগেরে তিনি সবার উপরে কর্তৃত্ব করেন। সাধারণতঃ স্বামী, স্ত্রী তার সেবিকা ও তার অবর্তমানে সম্পত্তি রক্ষণের মালিক। বাড়িতে বয়স্ক যারা তারা শ্রদ্ধার পাত্র ও অভিজ্ঞতা দিয়ে ছোটদের নীতি দেখেন। সন্তানেরা, যে আগে জন্মেছে সে ছোট জনের উপর কর্তৃত্ব করতে পারে।
মোটামুটি, এটাই আমার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান। কিন্তু মানুষ লোভী ও মোহে অন্ধ। আর কিছু বিকৃত অ্যাকাডেমিক আছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করেছেন, গবেষণা করছেন সরকারি কোষাগার লুট করে। এছাড়া অনেক বেসরকারী সংগঠন আছে যারা কৌশলে সমাজের কল্যাণের নাম করে বড় বড় শিল্পপতি বা চ্যারিটি ট্রাষ্ট বা সরকার কে নানা কথা বুঝিয়ে ফান্ড নিচ্ছেন আর গবেষণার নামে ভুল বকছেন।
এটা আমার ব্যক্তিগত মনে হয়েছে।
তারা বলছেন আর আইন পাশ হচ্ছে। এটা করতে হবে ওটা করতে হবে, সরকার তাদের উপর আস্থা ফেলে নানা বিল পাশ করিয়ে সমাজকে যাচ্ছেতাই করছেন।
যেমন ধরুন, ১৮ বছরের নীচে মেয়েরা বিয়ে, ২১ বছরের নীচে ছেলেরা বিয়ে করতে পারবেনা। তার পিছনে শারিরীক প্রতিবন্ধতা থেকে অর্থনৈতিক ও নারীবাদী চিন্তা মিশে আছে।
একটা মেয়ে গড়ে ১০ থেকে ১২ বছর বয়সে শরীরে মাতৃত্বতা নেবার যোগ্যতা পায়, এবং এটা প্রাকৃতিক। একটা ছেলের বীর্যপাত শুরু হয় ১২ বছর বয়সে, তাকে বিয়ের জন্য আরো ৯ বছর অপেক্ষা করতে হয়। তারপরেও সম্ভব নয় তাকে বৌ খাওয়াবার জন্য রোজগেরে হতে হয়। ফলত সে ২৫ থেকে৩০ বছর অব্দি বিয়ে করতে পারেনা।
আমার অভিজ্ঞতা হল মহিলারা ২৫ আর ছেলেরা ৩০ এর পর তারা নতুন করে মানসিক গ্রাহ্যতা হারিয়ে ফেলে। একটা ছেলে ৩০ বছর বয়সে ইতিমধ্যে তার স্বাভাবিক সামাজিক ও মানসিক মূল্যবোধ তৈরি করে ফেলে। সে সেই মূল্যবোধে সারা জীবন চলে। তদ্রুপ একটি মেয়ে ২৫ বছর বয়সে মানসিক দিক থেকে বুড়ি হয়ে যায়। সে যা ভাল বোঝে তা পাল্টাতে চায়না। অর্থাৎ সে অন্য আরেকটি মেয়ের মূল্যবোধকেও অসম্মান করবে। সেখানে সে তার স্বামীর সাথে বোঝাপড়া করতে করতে ক্লান্ত।
পন্ডিতগণ বলেছেন, স্বামী স্ত্রী বন্ধুর মত একে অপরের পরিপূরক। একটা কাজ দুইজনের সমান ভাবনা খাটিয়ে হয়না। একজনের বুদ্ধি ও অন্যজনকে সাথে যোগ করে হয়। দুজন একই পদমর্যাদায় কোন প্রতিষ্ঠান চলতে পারেনা। ফলে আধুনিক সমাজে মতের মিলন হয়না স্বামী স্ত্রীর মধ্যে।
অন্যদিকে মেয়েরা ২৫ বছর কুমারীর দশায় বহু ছেলের সাথে শুয়ে যৌনসুখ কি বুঝে ফেলেছে, সে ও তার বাবা মা মেয়েটিকে সুখে রাখতে পারবে এমন একটি ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছে ছেলেটির সাথে মেয়েটির মানসিক বোঝাপড়া হবেনা জেনেও। হয়ত ছেলেটিও অনেক মেয়ের সাথে যৌন সুখ পেয়েছে, সে আর তার বৌয়ের সুখে সুখী নয়। ফলতঃ বিচ্ছেদ করতে চাইছে। কিন্তু বিচ্ছেদ করলেই ভারতীয় খড়্গ আইন, ছেলেটির সম্পত্তির আর্ধেক মেয়েটি নিয়ে চলে যাবে। রাতারাতি ছেলেটি গরীব হয়ে যাবে। সেজন্য বিচ্ছেদও দিচ্ছেনা। এর ফল স্বরূপ প্রতিদিন ঘরে মারপিট স্বামী স্ত্রীর মধ্যে লেগেই থাকে। শেষে ছেলেটি একদিন সুইসাইড করে। ভারতে প্রতি ৮ মিনিটে একটি ছেলে সুইসাইড করে।