• Uncategorized
  • 0

কবিতায় উমা মণ্ডল

১।

দিনকাল

নদী  পাড়  চুপ  করে  থাকে ।  স্থির  ঠ্যন্ডা  জলে  ডুব  দেয়   নামহীন  পথ ।
বছরের  ঝুল  পড়া  কাঙালের  ব্যথা  ; কালো  তিল  যেন , অযাচিত  ফুটে  আছে । জারজের
গন্ধ  ভাসে  শিউলির  ভোরে
কাঠামোর  কাঁচা  মাটি  রোদ  চায় ; দহনের  তাপ
তীব্র  হলে  রং  ধরে । অসুরবিনাশি  রোদ  চাই
কত  কেঁদে  গেছে  ভিখারিনী  গাছের  ছায়ায়
কোন  শুষ্ক  শীত  তুলে  নিয়ে  গেছে  তার  জল
চাওয়া  আত্মা ; পড়ে  আছে  থালাভরতি  শূন্যতা
বালির  আকারে , কনকনে…………..কালের  কালাশৌচ  কী  পথ  জানে ; সমগ্রটি  পড়েছিল
ভূমিকা  থেকেই । ধুয়ে  নেয়  জংলা  ছাপ  আর  সব  মৃত্যুচিহ্ন ; খোলসের  দাগ  থেকে  যায়
অতীতের  গায়ে । প্রত্যেক  পথেই  সরীসৃপ  গন্ধ   থাকে  গুপ্ত  হয়ে
নদী  পাড়  চুপ  করে  থাকে
কিছু  বলে  না , পৃথিবী   এইভাবে  চলে…..

২। 

লাঙলের  ইতিহাস

টোঙা  নেই  কৃষকের  ; পড়ে  আছে  ধানের  কঙ্কাল
বৈশাখের  মধ্য  দুপুরের  আলপথ
কোকিলের  স্বর  জানে  চিরে  যাওয়া  পঞ্চম  ‘মা’
বলে  ডেকেছিল  বাগদেবীকেই  ; স্রোতে  ভেসে  যায়
ভেলা  শবের  । গাঙুর  কেন  বয়ে  নিয়ে  যাবে
মায়া  জীবন  ,অনিত্য  দুঃখ…………
পলাশের  কান্না  শুনেছিলে  কে , কে ? ষাঁড়ের  জাবর  কাটা  চোখ  থেকে  জল গড়িয়ে  নদীর
রেখা । তার  মধ্যে  ক্লান্ত  মাঝি  বিড়বিড়  করে  কথা  বলে সূর্যের  সাথেই  ;
ভারসাম্য  কার  আছে  এই  পৃথিবীতে
মাটি  ডাকে , ছড়া  কাটা  সন্ধ্যা – পদাবলী………
লাঙল  চালায়  চাষি ; শোক  থেকে  ঝরে  পড়ে  ঘাম
এক  ফোঁটা  দিয়ে  যেও ;  মৃত্যু  পথ  আত্মাকে , জননী ……………
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।