নদী পাড় চুপ করে থাকে । স্থির ঠ্যন্ডা জলে ডুব দেয় নামহীন পথ ।
বছরের ঝুল পড়া কাঙালের ব্যথা ; কালো তিল যেন , অযাচিত ফুটে আছে । জারজের
গন্ধ ভাসে শিউলির ভোরে
কাঠামোর কাঁচা মাটি রোদ চায় ; দহনের তাপ
তীব্র হলে রং ধরে । অসুরবিনাশি রোদ চাই
কত কেঁদে গেছে ভিখারিনী গাছের ছায়ায়
কোন শুষ্ক শীত তুলে নিয়ে গেছে তার জল
চাওয়া আত্মা ; পড়ে আছে থালাভরতি শূন্যতা
বালির আকারে , কনকনে…………..কালের কালাশৌচ কী পথ জানে ; সমগ্রটি পড়েছিল
ভূমিকা থেকেই । ধুয়ে নেয় জংলা ছাপ আর সব মৃত্যুচিহ্ন ; খোলসের দাগ থেকে যায়
অতীতের গায়ে । প্রত্যেক পথেই সরীসৃপ গন্ধ থাকে গুপ্ত হয়ে
নদী পাড় চুপ করে থাকে
কিছু বলে না , পৃথিবী এইভাবে চলে…..
২।
লাঙলের ইতিহাস
টোঙা নেই কৃষকের ; পড়ে আছে ধানের কঙ্কাল
বৈশাখের মধ্য দুপুরের আলপথ
কোকিলের স্বর জানে চিরে যাওয়া পঞ্চম ‘মা’
বলে ডেকেছিল বাগদেবীকেই ; স্রোতে ভেসে যায়
ভেলা শবের । গাঙুর কেন বয়ে নিয়ে যাবে
মায়া জীবন ,অনিত্য দুঃখ…………
পলাশের কান্না শুনেছিলে কে , কে ? ষাঁড়ের জাবর কাটা চোখ থেকে জল গড়িয়ে নদীর
রেখা । তার মধ্যে ক্লান্ত মাঝি বিড়বিড় করে কথা বলে সূর্যের সাথেই ;
ভারসাম্য কার আছে এই পৃথিবীতে
মাটি ডাকে , ছড়া কাটা সন্ধ্যা – পদাবলী………
লাঙল চালায় চাষি ; শোক থেকে ঝরে পড়ে ঘাম
এক ফোঁটা দিয়ে যেও ; মৃত্যু পথ আত্মাকে , জননী ……………