কবিতায় শ্যামল খাঁ

রোদে ভেজা পাহাড়
পাহাড় ঘেরা একটা সরু পথ
পথের শেষে পথ গিয়েছে বেঁকে,
বাঁকা হাসি হাসে ওই আকাশ
আকাশটাতে উঠছি মাটি শুঁকে।
শুকিয়ে যাওয়া পাথর গুলো ডাকে
ডাক দিয়ে যায় “চাই যে একটু জল”
জলের রেখা আরও অনেক দূরে
দূরের পাহাড় পরেছে কাজল।
কাজল কালো আঁখির পানে চেয়ে
চেয়েছিলাম একটু শান্ত হাওয়া,
হাওয়ার দাপট উড়িয়ে দেয় আঁচল
আঁচল বোঝাই মাতাল মহুয়া।
মহুয়া শুয়ে কড়া রোদের দাওয়ায়
দাওয়ার কাছে নদীর চলাচল,
চলার গতি বিঁধেছে এই মন
মন ফাগুন আজ চৈত্রে ভেজা জল।
জল পাই না– ঘামে ভিজে দেহ
দেহ টানতে উঠছে নাভিশ্বাস,
শ্বাসবায়ুতে ভীষণ রকম টান
টান রয়েছে পাহাড় চড়ার আশ।
আশাতে তাই হাত বাড়িয়ে খুঁজি
খোঁজার নেশা তোমায় ঘিরে ঘিরে,
ঘেরাটোপে স্মৃতি রেখেই নামি
নামতে গেলেই চোখ যে তাকায় ফিরে।
ফিরে আসার ইচ্ছে তো নেই মনে
মনের মাঝে শুকনো ঘাসের আগুন,
আগুন রাঙা পাহাড় তলীর গ্রামে
গ্রামের পথে হৃদয় বাঁধে কোকুন।