কবিতার স্বর্ণযুগে অমলেন্দু বিশ্বাস (গুচ্ছ)

শব্দসতী
প্রবেশ নিষেধ নেই। এমন ফতোয়া —
কখনো করিনি। বলিনি প্রকাশ্য হর্ষে।
রেখেছি গোপনে। যেটুকু বলেছি চুপে
নান্দনিক ভাষাপটে শব্দের তরণী —
ভাসিয়েছি জলে ; রূপকেলি শব্দসতী।
কেননা ভাষার ভেলা নিরবধিকাল
চলে যায় দুবির্ণীত শিশুর মতন।
প্রবেশ নিষেধ নেই। তবে অধিকার —
যোগ্যতা থাকার হৃৎ রয়েছে প্রস্তুত!
থাকা ভালো স্বাভিমান, প্রত্যয় প্রসূনে
ভোরের টগর থেকে জেনে নিও ঠিক
প্রণয়ের ভাষা থাকে চিরন্তন কাব্যে!
গ্রীষ্মের জানালা /৭
গ্রীষ্মের জানালা বন্ধ হলে মৌসুমি বাতাস —
ঢুকে এসে বসবে না কাঠের চেয়ারে!
দৃশ্যহীন হয়ে যাবে এই চরাচর।
অদূরে জবা গাছের নিচে পাখিদের চলাফেরা /
কিভাবে নিপুনভাবে খুঁটে খায়
মাটি আর ঘাস থেকে লুকোনো পোকামাকড়! /
অবরুদ্ধ থেকে গেলে গ্রীষ্মের জানালা
হৃদয় পরিখা জুড়ে দমবন্ধ পাখিশ্বাস
হা-পিত্যেশ করে প্রিয় জলছত্রে।
অধিকন্তু জানি আমি দরোজার কোল ঘেঁষে /
পাঁচটি বাচ্চা বিড়াল মৃদুস্বরে
আর্জি জানাতে থাকবে অবিরত
তাহলে কর্ণকুহক আর কি প্রকারে
স্তদ্ধ হয়ে বসে থাকবে বৃষ্টিহীন ঘরে!