অণুগল্পে রত্না দাস

নগ্ন নির্লজ্জ দৃষ্টি

ন্যাশনাল মিট কম্পিট করাটা মোটামুটি পাকা ছিল, কিন্তু তীরে এসে তরি ডুবলো, কিছু অসুস্থ, অসভ্য প্ররোচনায়। অলিভা ভেবেই উঠতে পারেনা মানুষ ঠিক কতটা নীচে নামতে পারে!

ওর পুরুষালী গঠন ওকে পাঁচজনের থেকে আলাদা করে ঠিকই, কিন্তু ও তো ট্রান্সজেন্ডার নয়, আদ্যোপান্ত একটা মেয়ে। তবুও ট্রেনিং ক্যাম্পের মেয়েরা রীতিমত অশ্লীল ভঙ্গিতে জিজ্ঞাসা করেছে ওর লোয়ার অ্যাবডোমেনে কী আছে পুরুষের প্রত্যঙ্গ না নারীর!

এমন প্রশ্ন কিভাবে সবার চোখে মানে ট্রেনাররাও মায় সিলেক্টররাও… এরা আবার দেশভক্তির ঝান্ডা ওড়ায় আশ্চর্য! আসলে ওর স্পীড সবাইকে চমকে দিয়েছিল, তাই সামনের সারির পছন্দসই মুখেদের ওকে সরানোটা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছিল।

একমাত্র সাহারা বুল্টাইয়ের কাঁধে মাথা রেখে চোখের জল আটকাতে চেষ্টা করে। বুল্টাই একটা কথাই বলে — কান্নাটাকে আগুন কর। উইল পাওয়ার বলে একটা কথা আছে। তুই যদি নিজে থেকে না হারিস তোকে কেউ হারাতে পারবেনা বুঝলি! তাই ভেঙে না পড়ে উঠে দাঁড়া, সব শেষ হয়ে যায়নি।

তীব্র তাপের ভাপ থেকে বেরিয়ে এসে অলিভার শরীরে ঠান্ডা হাওয়ার নরম ছোঁয়া লাগলো। ঠিকই… এখানে থামলে চলবেনা। অনেকটা পথ এখন শক্ত পায়ে হাঁটতে হবে, অনেক হার্ডল পেরিয়ে যেতে হবে। অলিভা চোয়াল শক্ত করে উঠে দাঁড়ালো।

“দুবেলা মরার আগে মরব না ভাই মরব না”…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

1 Response

  1. SN Nath says:

    চমৎকার লিখেছেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *