গদ্যের পোডিয়ামে (ধারাবাহিক) – সুদীপ্তা রায় চৌধুরী মুখার্জী – পর্ব- ৪

গবলেটে মেঘ ছিল কিন্তু !
৩৭৭ ধারার কিছু ভুল ধারণার অবলুপ্তি ঘটলো, সংশোধনী এনে মান্যতা দেওয়া হলো ভালোবাসার প্রতিটি ‘ধারা’কে যা এতদিন পরিগণিত হতো অন্যধারা নামেই। ধুয়ে গেল সব গ্লানি, সব মালিন্য ন্যায়ালয়ের নব ধারায়।
এবার প্রতীক্ষা ৪৯৭ র রূপান্তরের। এই আইনে পরকীয়া নাকি অপরাধ!! এবং রাষ্ট্রও তাতে শীলমোহর দেয়। বস্তুত সম্পর্কের বৈধতা অবৈধতা হয়ই না। ‘তুমি সুন্দর আমি ভালোবাসি’ এরপর শব্দ চলাচল কি উচিৎ? কাম্য? বিশেষত: সেই দেশে যেখানে ‘কানু বিনে গীত নাই’। রাস উৎসবে রাষ্ট্র মাতাল, ঝুলনের রাতে ঘরে ঘরে ওঠে মন্ত্রের রোল। তবুও ‘কলঙ্কিনি রাধে’, এ কেমন দ্বিচারিতা?
আমি তো মনশ্চক্ষে দেখতে পাচ্ছি আজকের পর সমাজ চশমা পাল্টেছে, ন্যায়ালয় ব্যতিত।নীরা শক্ত হাতে সুনীলের পাঁচ আঙুল আঁকরে পেরিয়ে যাচ্ছে” ভুবন ডাঙার মাঠ”। বনলতা সেনের ‘পাখির নীড়ের মতো চোখে’ জীবনানন্দ এঁকে দিচ্ছেন প্রেমাজ্ঞন।মেমসাহেব তাঁর সব রূপ-রস-গন্ধ-বর্ণ নিয়ে একটু একটু করে মূর্ত হচ্ছেন নিমাইবাবুর মুগ্ধ চোখে। অগ্নিবর্ণা পদ্যের পরিসর ছেডে. ‘আয়ু-স্বাস্থ্য-লবণের ঘ্রাণ’ সম্বলিত গদ্য সংসার গড়ে তুলছেন।
আর এইসব শুনে দূরের কোনো আকাশে নেবুলা কোটি কোটি তারা প্রসব করছে বসন্তের আহ্বানে। তারার আলোয়ে ধুয়ে যাচ্ছে বিশ্ব চরাচর। ভালোবাসার মায়া বিভ্রম!!!
আর তুই যখন এই সব ‘সত্য’ ঘটনাকে ব্রেকিং নিউজে পরিণত করার জন্য বদ্ধ পরিকর, আমি তখন অভ্যস্থ হাতে টপনড বাঁধতে বাঁধতে শুনতে পাচ্ছি তোরই বলা কথা, “চুলটা খুলে রাখলে হয়
না?”