শ্রাবণের বৃষ্টি শুরু হলে জেগে উঠে মহাকাল ;
নিজ দেশে ফিরে যায় চাতক পাখি ;
কেবল থেকে যায় মস্তিষ্কের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম অনুভূতিতে রাগিণী বিস্তার ;
নদীতে জল বেড়ে গেলে ,
বেড়ে যায় অস্থির স্রোত ;
প্রায় সকলেই স্রোতের টানে ভাসিয়ে দেয় জীবনের আগামী কাল ;
অথচ , বাতাসে ভাসে আদ্র অস্পষ্ট স্বর ;
ঠিক সেখান থেকে নেমে আসে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া
পার্বতী-প্রেম , দক্ষযজ্ঞ , প্রলয় নৃত্য …
মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাওয়া মেয়েরা
কোনও সময়ের জন্য বার বার দর্পণের সামনে দাঁড়িয়ে
সময় নষ্ট করে না নিজের সঙ্গেও ;
প্রবল বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে মৃত গাছ গুলি ,
শুকনো পাতা , খসে খসে পড়া বিবর্ণ বাকল ;
এক বুক আশা নিয়ে ভিজে মাটি অপেক্ষা করে
শুকনো বীজ থেকে চারা তৈরি হবে ;
মাটিও মনের আনন্দে শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে ;
ঠিক তখনই প্রেমিকার নূপুরের টুকরো
জানিয়ে যায় ভালো নেই প্রকৃতি ও পুরুষ ;
শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে নতুন রাগিণী আবার শুরু ।