সম্পাদকীয়

এক কন্যে, ভেজা চুলে কাঁটা খুলে, ফিনফিনে রুপোর গয়না পরে আমার জানলায় এসেছিল। আমার চোখ তখনো ঘুমের প্রলেপে আধবোজা, ঘন্টা বাজে সংসারের। সেই সুন্দরীকে বলি ‘হ্যাঁ গো কন্যে এক লহমা বোস না ।চায়ের কাপ টা নিয়ে আসি’। তা সে বলে ‘আমার সময় নেই বেশি, আমার চায়ে আবার চিনি দিয়ে ফেলো না যেন।’ আমি বলি ‘চিনি ছাড়া চায়ের সাথে, আর কি আনব? বিকেলে আলুর চপ দিতে পারতাম, কিন্তু এখন?’ নাক সিটকে বলল সে ‘ ওইসব হাই ক্যালরি, জিনিস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি , তাও এই সাত সকালে , দুটো সুগার ফ্রি বিস্কুট দিতে পার।’ বল্লাম ‘তাই সই।’ স্বচ্ছ কাচের কাপে দার্জিলিং সুগন্ধি ভুরভুরে লাল চা নিয়ে বসলাম। এ কথা, সে কথা হাবিজাবি র পর বললাম। ‘আজকে যাবার তাড়া নাই বা করলে, দুপুরে থাক না।’ সে বললে ‘মেলা বোক না। এ বছর ওভারটাইম ডিউটি। তোমরা ইলিশে, খিচুড়িতে ডুবে থাক। আমার সময় নেই’। আমিও পর্দা টেনে দিয়ে হাতের বইটাতে মনযোগ দি । সে কন্যে এখন প্রবল বেগে ডিউটিরত । আর কথা বলার সাহস নেই আমার।
ইন্দ্রাণী ঘোষ।