হৈচৈ কবিতায় অঞ্জলি মুখার্জী

মধুমালার বিয়ে
কালা গোপাল ল্যাংড়া ভোলা হলো রামবাবুরই শালা;
বোন সে মধুমালা, কিচ্ছুটি নাই জ্বালা।
ঘন দুধের সঙ্গে ভালোবাসতো খেতে ভাত ,
যখন দেবে দুপুর বিকেল গড়িয়ে গেলেও রাত।
নেচে গেয়ে বেড়ায় মধু সারা পাড়া ময়;
বায়না তো তার কিচ্ছুটি নাই হোল বয়স নয়।
একদিন এক দুপুর বেলা বসবে খেতে মধুমালা
একঘর লোক হোল হাজির সঙ্গে কিনা যদুর শালা।
বহু দিনের ছিল জানা যদুর বাপের খুড়ো;
বললে এসে খুড়ো মশাই নেইকো তাড়াহুড়ো।
ছেলের বিয়ে দেব আমি এই মেয়ের ই সাথে;
বেশী নয় মোটে লক্ষ টাকা নেব নগদ হাতে।
ভরি কুড়ি সোনা দেবেন পালং শেতলপাটি
বাসন কোসন সাজিয়ে দেবেন রূপোর থালাবাটী।
বরযাত্রী বেশী সে নয় ছয় কুড়ি তো গোনা,
থাকবে রাতে দেখো ভায়া মানুষ চেনা জানা।
বিয়ের লগন এগিয়ে আসে বাপ জার্সি গরু দেবে
গোটা দুয়েক বগনা ছানাও. পিছন হতে যাবে।
আসলো সেদিন নাচছে তাধিন,আছে মজায় মধুমালা!
জুড়লো ব্যামো মধুমালার শুরু হোল খেলা।
ছোট্ব হতে পেটের ব্যামো কিচ্ছুটি না সয় ধাতে
সঙ্গে কিনা মাথার ব্যামো বাড়ে রাত বিরেতে।
বাজছে সানাই মাদল কাঁসী বরযাত্রী রাশি রাশি
আয়োজন তো মন্দ সে নয় মন্ডা মিঠাই সঙ্গে খাসী
বললে হবে সকাল হতে কনের দেখা নাই,
মাথা ব্যথা সঙ্গে বমি পেট করে আইঢাই।
রাত বাড়ে তো কনের বাপের মাথায় কিনা হাত.
পোড়া বরাত মধুমালা হয়েছে কুপোকাত।
সন্ধে গিয়ে পার হোল রাত. ঘটল সে এক কান্ড.
কন্যে কিনা হয়েছে খাড়া সে বসবে না একদন্ড।
বললে এসে আনো টোপর. মুকুট মালা বর. .
করবো বিয়ে এই লগনেই আমার নেইকো কোনো দর?
গোটা নয়েক হলো বয়স, এমন পাত্র পাব কোথায়
ভাঙ্গলে লগন জীবনটা যে বয়ে যাবে বৃথাই!