কবিতার বলরুমে সুদীপা বর্মণ রায়

চেনা গল্পটা
শালিকটা একলাই রাস্তাটা চায় পেরোতে,
চলছিল হেঁটে।
ওই শালিক, ওরে ওই ,
তুই তো উড়তে পারিস?
দুপ্রান্ত থেকে ছুটে আসে দানবাকৃতি গাড়ি।
চাপা পড়বি যে।
উড়তে পারি ?
হ্যাঁ তাই তো!
আমি তো উড়তে পারতাম।
কত সম্ভাবনা ছিল আমার মধ্যে।
টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দিতাম আমার সৃষ্টি চতুর্দিকে।
তবে? ভুললি কেন ওড়া?
আরে শোনো তো গল্পটা পুরো।
বুঝবে তবে ,
ভুলেছি কি কিছু?
ভুলতে চেয়েছি যদিও অনেক অনেক।
যেমন ?
এই ধরোনা কেন লিস্টি যদি দি
নিজের মুখেই
পারতাম কি কি ?
বলনা শুনি?
দেমাক ভাববেনা নাতো গুণী?
সত্যি যদি হই আমিও গুণী ,
করবো গুণেরই কদর।
এটাই মানি।
বুকের জোটবদ্ধ যত কথা , যত গান
ছড়িয়ে দিতাম বুনে বুনে
পাতায় পাতায়।
বিশ্ব সাহিত্যের আঙিনায়
অনুবাদের অচিনপুরে
অর্থ যত খুঁড়ে খুঁড়ে
মুক্তি দিতাম পৃথিবী জুড়ে।
বেশ বেশ, তারপর?
তারপর? কিসের যেন লাগলো ছোঁয়া।
চারপাশে চাপা বিষের ধোঁয়া।
সাহিত্য ছেড়ে বাহ্যিক নিয়ে হাসে
গুমরে মরি ত্রাসে।
ভাবি এলাম কোথা
এরা কিসের হোতা?
ভালোবাসে কি কি?
আমি একলাই হেঁটে দেখি
পারি কিনা!
এই সাহসই হোক সঙ্গী।
নতুন ওড়ার ভঙ্গী
চমকে দিক
দিগ্বিদিক।
আমিও তোর পথের পথিক
ভালো থাকিস
একলা শালিক।