গদ্যের পোডিয়ামে পিয়াংকী – ধারাবাহিক – (পঞ্চম পর্ব)

ওরফে তারাখসা এবং তুমি বালক

তোমার সাথে আমার সম্পর্ক সমুদ্রের মতো। কিছুটা পাহাড় কিছুটা পাতালও। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে,পাতাল কেন। পাহাড়ের সাথে মিলিয়েই পাতাল হয়ত। ঊর্ধ্বক্রম অথবা নিম্নক্রম। বিপরীতে আকর্ষণ বেশি। সঙ্গম শেষে এঁটো আমিষের মতো নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকে সময়। রাত্রিকালীন জোয়ারভাটায় জীবন নিংড়ে নেয় কুলোর বাড়তি খুদটুকুও। রূপ নিভে এলে ভুল-আলোয় জেগে ওঠো তুমি। আলখাল্লা পোশাকে ঢেকে নাও অস্তিত্বের অসমাপ্ত বারুদ । ত্রয়োদশীর জ্যোৎস্না গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়বার পথে পথভ্রষ্ট হয়। সুরমা লেপ্টে থাকে বসত-আয়নায়।

সংযমী হবার তাগিদ ছাড়া একে আর কী দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে পারি,এসব ভাবলেই আমার পাতালের দিকে চোখ যায়। তোমার সাথে কথা হয়৷ তাকাই মাটির দিকে। সমুদ্র নিয়ে আমাদের যে ফ্যাসিনেশন ছিল, জল এসে ধুয়ে দিয়ে গেছে। এখন শুধু নুন ফেলে রাখি বালির ওপর। ছিঁড়ে এফোঁড়ওফোঁড় করছে যে মধ্যযাম তার কি আদতে আলো আছে? জিজ্ঞেস করো আমায়। উত্তর খুঁজে পাই না। তুমি নিজস্ব একাকিত্ব দেখাও। সেখানেই স্নান সেরে উঠে ফের গা ধুতে যাও। হাঁসের চলাচল বোঝাতে বোঝাতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি।

অবশিষ্ট যা আজ তা কি সহায়-সম্বলহীন এক পরিযায়ী? দীর্ঘমেয়াদি চলাচলে ধুইয়ে এসেছি একান্ত পাপ।
যাও, প্রায়শ্চিত্ত করো।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *