কবিতায় বলরুমে স্মরজিৎ দত্ত

 

যখন আবিষ্কার হয়নি আমাদের কম্পাস
তখন পৃথিবীর মানুষ তার দিক নির্দিষ্ট করেছে
নির্দিষ্ট করেছে ওই ধ্রুবতারা কে ধরে।
আমি তেমন পথের যাত্রী নই
আমিও তাকেই সাক্ষী রেখে চলেছি এগিয়ে।

এ পৃথিবীর যে সময়টুকু আমার আছে নির্দিষ্ট
সেদিন সমস্ত মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হবে।
চলে যেতে হবে আমাকেও চিরদিনের মত,
সেদিনও আমার এই বাস্তবতা সাক্ষী থাকবে
সেই ধ্রুবতারায়, দূরে বহু দূরে উদিত গগনে ।

ওই যে দূরে বহুদূরে, উত্তর আকাশে
রাতের গগন জয়ী পৃথিবীর দিক দিশারী।
নজর রেখে যায় সে পৃথিবীর কোণে কোনে
নজর রেখে চলে পৃথিবীর কোনে কোণে হয়ে দিশারী।

এ পৃথিবীর এ সংসারে
কখনো চোখের জলে, কখনো আনন্দে।
কখনো বন্ধনে, কখনো ক্রোধে,
কখনো আত্মগরিমায় রয়েছি বেঁচে।

জীবনের এক সময়ে এসে যখন
যখন বসব হিসেব নিকেশ নিয়ে ।
একে অপরের মুখ পানে চেয়ে
নিজ আত্মগরিমা ,ক্রোধ সব রাখি দূরে
বলবো ভালোবাসি, ভালোবাসি একে অপরেরে।
নীল আকাশের নীলিমার মতো মোদের ভালোবাসার আবরণ দিয়ে মুরে রাখি একে অপরকে।

এ পৃথিবীতে কেউই আসিনি আমরা
সারা জীবনের জন্য আসিনি থাকতে ।
আমাদের স্মৃতি, আমাদের অমলিন ভালোবাসা আমাদের হৃদয়ের ব্যাথা, বেদনার ছবি-
তাই একে রেখে যাই পৃথিবীর বুকে।

আমাকেও তেমনি খুঁজে পাবে ওই কৃষ্ণচূড়ার গাছের ডালে,
খুঁজে পাবে, নীল আকাশের অসীম নীল আভাতে।
খুঁজে পাবে আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া
বয়ে যাওয়া ধূসর ভাগীরথীর জলে।

তাতেও যদি না মেটে আস, তবে ওই
ওই দিঘির মাঠে যেখানে আমরা মিলেছি ।
মিলেছি বহুবার ওই কৃষ্ণচূড়ার গাছের নিচে
কখনো করতালি, কখনো খুনসুটি,
কখনো আল্লাদের ঝগড়ায় সারা দিবা নিশি।

সেই দিঘির মাঠে গিয়ে খুঁজে নিও
খুঁজে নিও আপন করে,পাবে আমাকে।
দিঘির মাঠের ওই যে বটগাছ
আমাদের প্রথম প্রেমের সাক্ষী কৃষ্ণচূড়া তাতে।যার তলায় দাঁড়িয়ে আমরা একে অপরের চোখের চোখের দিকে তাকিয়ে জোরালো কন্ঠে বলেছিলেম
মোরা ভালোবাসি, ভালোবাসি একে অপরেরে।

শেষে, বাড়িতে ফিরে গিয়ে রাতের নিদ্রা শয়নে
জানালা পানে তাকিয়ে ,পূর্ণিমার চাঁদ দেখো ভালোবেসে।
তাতেই খুঁজে পাবে, খুঁজে পাবে হারিয়ে যাওয়া
হারিয়ে যাওয়া, আমাদের পুরাতন ভালোবাসাকে।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।