গোলাপি বলে কি সুইং বেশি? আর গোলাপে বুঝি কাঁটা নেই? ফলে একটা কুসুম কুসুম পথে হেঁটে সেঞ্চুরি হাঁকানো মোটেই সম্ভব না। ব্যাটে বলে নিখুঁত টাইমিং, ভালো পিচ, সঙ্গে খেলোয়াড়ের কৌশল, বোলারকে পর্যদুস্ত করার ক্ষমতা, সর্বোপরি ধৈর্য ও সাহস—তবেই না একটা সেঞ্চুরি আসবে ব্যাটে! সেঞ্চুরি হাঁকানো তত সোজা কাজ নয়। এমন অবস্থাও আসে, যখন বিপরীত পক্ষের ক্যাপ্টেন দুর্দান্ত ফিল্ডিং সাজায় আর একটা বলও ফিল্ডারদের হাত ফসকে মাঠের বাইরে যেতে পারে না। এমনকি এক রান, দু রান করে যে স্কোরবোর্ড চালু রাখবেন তারও উপায় থাকে না সবসময়ে। একটার পর একটা ডট বল হতে দেখবেন আপনারই চোখের সামনে। এমনকি মেডেন ওভারও পেয়ে যাবে বোলার। একটা উইকেট হয়ত ছুড়ে দিয়ে গেল আপনার দলেরই কোন ব্যাটসম্যান। তার পিছনে পিছনে হয়ত আরও কয়েকটা উইকেট পড়তে থাকল……এইরকম অবস্থাতেও কোন কোন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করে। অসীম ধৈর্য আর একাগ্রতায় তাও সম্ভব। কখনও দেদার পিটুনি দিয়ে একেকটা ঝড়ো ইনিংস খেলে দিয়ে রানরেট বাড়িয়ে চলে গেল একজন সতীর্থ। এগুলোই আপনার সম্পদ। এগুলোর সহায়তায় একজন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির মুখ দেখেন।
বিশ্বাস করুন, ওগুলোই আমাদের সম্পদ আর অস্ত্র। হাই ভোল্টেজ কারেন্টের মতো আমাদের মগজে ক্রমাগত এক একটা আইডিয়া পাক খেতে থাকে। আপাতত লক্ষ্য বলতে ছিল, ওই সেঞ্চুরি। প্রথমে শর্ট বল ছেড়ে দিতে শিখেছিলাম, লুজ বল পেলেই ছক্কা! আর এখন বলটাকে ফুটবলের মতো দেখছি। বাউন্সার, গুগলি, স্পিন বা পেস্, কোনকিছুকেই আর ভয় পাচ্ছি না। সেঞ্চুরি করে ফেললে যেমন এক আত্মতৃপ্তি আসে, তেমনি সেঞ্চুরির পর সেই আত্মতৃপ্তির ঘায়ে আউট হয়ে যাওয়ার ভয়ও থাকে। সেদিক থেকেও আমরা সচেতন এখন। আউট হওয়ার ভয় পাই না আর। সামনে লক্ষ্য ৩৬৫। দিন, দিন, প্রতিদিন পাঠক, লেখকের সঙ্গে রয়েছি আমরা, টেক টাচ টকের টিম। আর পাঠকই আমাদের পাথেয়। যাঁরা না থাকলে এই আয়োজন বৃথা হয়ে যেত। এখনই আমাদের পাঠক সংখ্যা বলতে চাই না আমরা। সংখ্যা দিয়ে গুণমান বিচার যেহেতু অসম্ভব। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের যাত্রা অব্যহত থাকুক, এই প্রার্থনা করি।