এ আলো তেমন শুভ্র নয়।যেন মাংসাশী, যেন সে পতঙ্গভূক। বিকেলের আধখানা গিলে ফেলে খাদের কিনারে দাঁড়িয়েছে। আমাদের পায়ে পায়ে মাটি ও কাঁকর। ক্ষীণ জলধারা এক এই অনাবৃষ্টির শ্রাবণ পূর্ণিমায় ধূসর রেখার মতো নেমে গেছে নীচে, বহুদূরে ।আমরা দাঁড়িয়ে ঠায়। তারাখসা দেখব বলে বনের গভীরে যাইনি। আর যারা এসেছিল নীল জ্যোৎস্নায় স্নান সেরে এইমাত্র কাঠের বাড়ির দিকে গেল।
(২)
বর্ষা নেমেছে। হয়ত বা এই শেষবার তোমাকে আসার কথা বলব ভেবেছি ।এ চিঠি যখন পাবে বাগানে জারুল গাছে ততদিনে থোকা থোকা ফুল ফুটে গেছে। বর্ষার জল পেয়ে ইতিমধ্যেই বেশ ঝাঁকড়া হয়েছে সে ,আমাকে তোমার কথা শুধোয় সকালে । তাকে বলেছি তোমার কাজ,পাহাড়ের কোলে সেই ছোট্ট স্কুলবাড়িটির কথা,যেটুকু না বললে চলে না । তার মাঝে মাঝে সাধ হয় সেখানে যাবার। আমারও যে হয় সাধ,এই কথা প্রানপণে অবিশ্বাস করি ইদানিং।
সময়ে,সুযোগে এসো । এই মাঠ ,ঘাট ,ঘর ,বাঁশবন,আলোসব তোমাকে যতটা চেনে, পাহাড় চেনে না।