কবিতায় শান্তনু প্রধান

ফাটল

ছেঁড়া বিছানার উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে মৃত্যু
মেঠো ইঁদুরের মত প্রতিদিন আসা-যাওয়া করে
স্বর্গের প্রহরীরা দেখে
ঝনঝন করে বেজে উঠছে হাতানিয়া দোয়ানিয়া
আর আমি ঠাসবুনন পূর্ণিমার হাত ধরে
স্বর্গ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছি
হাতানিয়া দোয়ানিয়ার কাঁধে চেপে ভেসে চলেছে
সময়ের কাছে হেরে যাওয়া মানুষের জীবন বোঝাই করা একটি নৌকো
এই স্বরলিপি জানতো যে রাতের পাখিটি সেও
ঠোঁটে করে গার্হস্থের ছুরি নিয়ে কোথায় যেন উড়ে গেছে
তবুও তো মৃত্যু আসে
বন্য তান্ত্রিকের বুকের উপর দিয়ে চরে যায় দূর্বা ঘাসের শিকড়

কেউই জানেনা মৃত্যুর কোন বর্ণ আছে কিনা কিংবা গোত্র
নৌকোটিও কোন বাধা শুনছে না পরস্পর হাত ধরা- ধরি
সবকিছু ভুলেই শুধু একবার কেন যে খুঁজে পেতে চাইছে
জীবনের প্রকৃত ব্যবহার
হয়তো এই কারণে শ্মশান ঘাটের ফাটল বাড়ছে দেখে
লোভহীন একটি মৃত্যু প্রতিদিন বিছানার উপর অপেক্ষা করে
খুব একা একা টের পাই এই কি তবে সঠিক মর্যাদা
তুমিও আজ শ্যাওলা ধরা ছাদের উপর ভীষণ ভাঙাচোরা
এইমাত্র জীবনের প্রথম ঘুড়িটি ওড়ালে বুঝি স্বর্গের দিকে
দেখো সুস্থ হয়ে বাতাস কাঁপিয়ে ঠিক ফিরবে নদীটির ওপারে

ঘুম ভাঙতেই দেখি জীবন জুড়ে একটা বড় ধরনের ফাটল
অন্য কোন কিছু চাইছি না বলে সেই ফাটলের ভেতর
হড়কা বানের মতো হুড়হুড় করে ঢুকে যাচ্ছে কুরুক্ষেত্রের মাটি
তুমিও কি তবে হেসে উঠলে জ্বলন্ত পৌষের অন্ধকারে
আসল কথা হলো আমার কোনোদিন ঘুম আসেনি।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।