T3 || ঘুড়ি || সংখ্যায় সঞ্জীব সিনহা

আমার ঘুড়ি ওড়ানো
আজ থেকে প্রায় পঁচাত্তর বছর আগে আমার ঘুড়ি ওড়ানো শুরু। তখন গ্রামে থাকতাম, চারপাঁচ বছর বয়সে একটা কাগজের প্রান্তে সুতো বেঁধে রাস্তায় ছুটতাম, আমার ঘুড়ি উড়তো, তার সাথে আমার মনও। তারপর পুরনো খবরের কাগজ চার কোণা করে কেটে তাতে বেলের আটা দিয়ে নারকেল কাটি লাগিয়ে আমার ঘুড়ি উড়তে লাগলো। তারও পরে শুরু হল কেনা ঘুড়ি ওড়ানো, তখন রঙিন টিস্যু পেপারের ঘুড়ি হতো, এখনকার মতন সিন্থেটিক পেপারের ঘুড়ি ছিল না। এতদিন কাঠিতে সুতো জড়িয়ে ঘুড়ি ওড়াতাম, ফাইভ সিক্সে পড়ি, বড় হয়ে গেছি, বাবা লাটাই কিনে দিয়েছেন, সে কি আনন্দ। বন্ধুদের সাথে সুতোতে মাঞ্জা দিতে শিখলাম, তবে সম্ভবত কোন দিনই কারোর ঘুড়ি ভো-কাট্টা করতে পারিনি। ক্লাস নাইনে ওঠার পর আমার হোস্টেল জীবন শুরু আর ঘুড়ি ওড়ানোর অনাবিল আনন্দের ইতি।
আর একটা কথা সেই সময় বিশ্বকর্মা পুজোতে গ্রামের দিকে ঘুড়ি ওড়াবার চল ছিল না, কারন তখন গ্রামে ছাদওলা পাকাবাড়ি খুব কমই ছিল, তাই আমরা গ্রামের ছেলেরা (তখন মেয়েদের ঘুড়ি ওড়াতে দেখিনি) জমিতে ধান কাটার পর পৌষ মাসের ফাঁকা মাঠে ঘুড়ি ওড়াতাম।