সম্পাদকীয়

ঠাকুরদার মুখে শুনেছিলাম ৪৬-এর দাঙ্গার বর্ণনা। হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে কোন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে চায় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা? সে ব্যক্তি কোন ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করছে যে ধর্ম মানুষের নিথর শরীরের ওপর দিয়ে ভবিষ্যৎ দেখতে চায়? প্রশ্নগুলো এখনো তোলেন সেই সব হতভাগা লোকেরা যারা নিজেদের চোখের সামনে স্বজনদের খুন হতে দেখেছেন। যারা হার্মাদদের ভয়ে দেশ ছেড়ে ভিন দেশকে নিয়তি মেনেছেন।
সমস্ত বঙ্গের তথা ভারত ভূখণ্ডের জনগনের কাছে শহিদ সোহরাওয়ার্দী একটা গালির মতো। যে ব্যক্তি সজ্ঞানে হাজার হাজার মানুষের হত্যার প্ররোচনা দিয়েছিলেন। ১৯৪৬ সালের ১৬ই আগষ্টের কথা মনে পড়লে এখনো প্রত্যক্ষদর্শীদের চোখ থেকে রক্তঅশ্রু বের হয়।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ ও তার সদস্যরা সমস্ত মানুষের কাছে অভিশাপ হয়ে আছে। তাদের ক্ষমতার লোভ এবং হটকারি সিদ্ধান্তে শুধু মানুষই খুন হয়নি হয়েছিল অসংখ্য মানুষ বাস্তুহারা, দেশহারা। তার রেশ আজও বয়ে বেড়াচ্ছে দুই বাংলার অসহায় মানুষ।
কলকাতা দাঙ্গার ওপর এই বিশেষ সংখ্যা প্রকাশের সময় কলকাতা দাঙ্গার বিষয়ে অনেক লেখা পড়েছি। অনেকেই এই কলঙ্গিত অধ্যায়কে লুকাতে চেয়েছে। শুধু দুটো সম্প্রদায়ের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তা সঠিক নয়। এর মূলে মুসলিম লীগ ও সোহরাওয়ার্দী ভীষণভাবে দায়ি। একথা বঙ্গের মানুষের জানা দরকার।
হৃদয় মালাকার