সম্পাদকীয়

নবনীতা দেবসেনের মাতৃদেবী শ্রীমতি রাধারানী দেব বলেছিলেন ‘সরকার থেকে এবার কবিতা নিয়ন্ত্রণ আইন করা উচিত – দেশে পোয়েট্রি এক্সপ্লোশন ঘটেছে’ । ভাগ্যিস উনি নেই এখন, না হলে ফেসবুকে কবিতার ভলকানিক ইরাপসন দেখে কি বলতেন ভাবলে কপালে বিন্দু, বিন্দু ঘাম জমে, হাত পা কেমন ঠান্ডা হয়ে যায় ।
সুনীল গাঙ্গুলী থাকলে নি:সন্দেহে সিগারেটে একটা লম্বা টান দিয়ে নীরার কথা ভাবতে বসতেন সঙ্গে এক চিলতে হাসি থাকত ফ্রীতে ।
শক্তি চাটুজ্যে হয়তো বলতেন এখানে হেমন্তের বাগানের পোষ্টম্যানের কোন কাজ নেই, এ যে চিরবসন্তের রাজপাট ।
জীবনানন্দ সাতটি তারার তিমির খুঁজেই পেতেন না নিওনের আলোর জলসায় ।
শঙ্খ ঘোষ বিজ্ঞাপনের আলো নিভিয়ে দিতেন । তবে তাঁর কোন কৃতি ছাত্র যদি তাঁর কয়েক ছত্র কবিতার কথা লিখতেন ‘শঙ্খ ঘোষ’ নামক ফ্যান পেজে তিনি রাগ করতেন না ।
আর রবীন্দ্রনাথ হয়তো বলতেন একটু ফেসবুকের ব্যাপারটা তিনি রোমা রোলার সাথে আলোচনা করে নেবেন ।
তবে এ কথা ঠিক যে অচলায়তনে তো এরা কেউ দম ফেলতে পারতেন না, কাজেই ফেসবুকের নতুন হাওয়াকে একেবারে নসাৎ করতেন বলে মনে হয় না, একবার সে হাওয়ার গন্ধ নিতেন ঠিক ।
কাব্য যাপন চলুক ।
শুভেচ্ছা সকলকে ।
ইন্দ্রাণী ঘোষ