সম্পাদকীয়

রথ ভাবে আমি দেব,
পথ ভাবে আমি,
মূর্তি ভাবে আমি দেব,
হাসেন অন্তর্যামী ।

কি বিশাল আয়োজন মহাপ্রভুকে রথে করে মাসির বাড়ী নিয়ে যাবার, মাসির বাড়ীর বেড়ানো সেরে মহাপ্রভু ফিরলেন আবার মন্দিরে । মানুষের মহাপ্রভুকে দেখার কি ভীষণ আর্তি । অন্তর্যামী সত্যি আড়ালে হাসেন । এই যে তিনটি রথের চাকা গড়াল, নন্দীঘোষ, তালধ্বজ, দর্পদলন এ কি শুধুই এক ধার্মিক আচার? এই প্রশ্ন থেকেই যায় । ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করলেও, ধর্মের গল্পগুলোর আকর্ষণকে অস্বীকার করা যায় না । এই রথের চাকার সাথে, পশ্চিমী সাহিত্যের চড়কার যেন কোথায় মিল রয়ে গেছে বলে মনে হয়, ওই যে তিন বোন মিলে চড়কা কাটে, ভাগ্যের সুতো গোটায় আবার ছাড়ে, রথের চাকা তো ভাগ্যের সমার্থকই বটে । গ্রীক পুরাণের সাথে আমাদের দেশের ধর্মীয় আচার কোথায় এসে কেমন করে যেন মিলে যায় । আসলে যোজন যোজন দুরে থেকেও মানুষের প্রশ্ন, সৃষ্টি নিয়ে তাঁর তুমুল জিজ্ঞাসা একই বিনিসুতোয় গাঁথা পরে যায়, এর চেয়ে বড় আশ্চর্যের বোধহয় কিছু হয় না । আর তাই বুঝি অন্তর্যামী সবার অলক্ষ্যে হাসেন ।

ইন্দ্রাণী ঘোষ

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।