কবিতায় কুণাল রায়

দ্রৌপদী
বসিয়া আছে একাকী,
গোধূলির নরম আলো,
আসিয়া পড়িয়াছে ঘরে,
ঘুচিয়াছে অন্ধকার!
হৃদয় আজ বড়ই ব্যাকুল,
তবু সৌন্দর্য রাখিতে হইবে অক্ষুণ্ন,
এক দর্পণ লইয়া –
দেখিল আপনাকে,
সিঁথিতে পড়িল সিঁধুর,
অকস্মাৎ –
এক নারী কন্ঠ আসিল ভাসিয়া,
“যাহা আনিয়াছ পুত্রগণ,
ভাগ করিয়া নাও”!
স্থম্ভিত দ্রৌপদী,
ভাবিল –
“কি শ্রবণ করিলাম আমি?”
কুন্তী আঁখি মেলিয়া দেখিলেন,
অবাক হইলেন,
ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন –
পুত্রবধূর নিকট!
কিন্তু মাতৃনির্দেশ,
অমান্য করিতে অস্বীকার করিলেন,
ধর্মপুত্র!
এক বিড়ম্বনা,
উপস্হিত হইল!
বিজয়মাল্য,
অর্জুনের কণ্ঠে,
কেন তবু –
এই অগ্নিপরীক্ষা?
আসিলেন ঈশ্বর,
পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ,
বলিলেন –
“ইহা মহাকালের অভিপ্রায়!”
তাই –
নাই কোন ভয়!
থাকিব চিরদিন,
রক্ষা করিব,
সদা তোমাদের!!