গল্পেরা জোনাকি তে রীতা চক্রবর্তী (পর্ব – ১৯)

নীল সবুজের লুকোচুরি
— আয়ান মিঠির হাত ধরে উদ্গত কান্নায় ভেঙে পরে।
-” ইশ্, এটা কি ঠিক হচ্ছে!” মিঠির গলায় যেন শাসনের স্বর স্পষ্ট হয়ে ওঠে। “আপনি এরকম অবুঝের মতো করলে যে আমরা অসুবিধায় পরে যাব। এই তো মাত্র তিন মাস হল অপারেশনের। এভাবে নিজের ওপর চাপ নেবেন না। একটু শান্ত হোন, প্লিজ। আর আপনার সাথে যখন আমার একটা সম্পর্ক আছেই তখন তো অনেক গল্প ও আছে আমার। সেগুলো এতদিন শুধু জমিয়ে রাখা ছিল। আজ যখন আপনাকে পেয়েছি তখন সেগুলো বলার সুযোগটুকু তো দেবেন নাকি! আমার কাছের- দুরের ফেলে আসা দিনগুলির কথা আপনার ভালো না লাগলেও শুনতে যে হবেই। কোনও ছাড়াছাড়ি নেই তাতে।”
-মিঠির কথা শুনে আয়ানের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে ওঠে। -” Yes my child, I’m eagerly waiting to hear you. ”
–” সে সব হবে। আপনার লাঞ্চের টাইম হয়ে গেছে। আর দেরি নয়। এখন তো কথা বলার জন্য এপোয়েনমেন্ট করতে হবে না। আমার ইচ্ছে হলেই কথা বলতে পারবো। আর সেজন্য আপনাকে ভালো রাখার একটা দায়িত্ব আমার থেকেই যায়। so, no argument. Be a good boy n take your dish as you like.”
আজ সুমিতা বাড়ির ‘মেড’দের সন্ধ্যায় আসতে বলেছে। এসময়ে বাইরের লোক থাকাটা একেবারেই কাম্য নয়। এতবছর পর আয়ানের সাথে দেখা হবে। পরিস্থিতি কেমন থাকবে না থাকবে সাতপাঁচ ভেবেই এটা করতে হয়েছে ওকে। হাজার হোক ওরা তো সমাজে একটা সম্মানের জায়গায় কাজ করে। এতদিন বহু কষ্টে তিলতিল করে এই সম্মান অর্জন করতে হয়েছে। সামান্য কাজের লোকের সামনে এসব আলোচনা হলে সে সম্মান ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে আর সেটা কখনোই হতে দেবে না সুমি। তাই নিজে এগিয়ে এসে টেবিল রেডি করতে শুরু করে। মিঠিও মায়ের সাথে এগিয়ে আসে।
আসছি পরের পর্বে