৪| ৪৫০- ৫০০ গ্রাম ওজনের একটা চ্যেলা করা রুই মাছের মাথা।
৫| ৫০০ গ্রাম পনীর।
আরে ধুস। আমি তো রবিবারের স্পেশাল মেনুর কথা বলছি। আজ রান্না করার বেশ মুড হচ্ছিল তাই সকাল সকাল নিজেই বাজার করে আনলাম। যদিও বাজারের দরাদরি আমার বেশ ভালো লাগে।
এবার আসি রান্নাতে।
চিকেন দিয়ে বানালাম সাহী মুর্গ কোর্মা। ডিম দিয়ে হাঁসের ডিমের কারি। পমফ্রেট মাছ দিয়ে অবশ্যই তেল পমফ্রেট। রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্টো আর পনীরের কলিয়া।
এগুলো তো মাঝের মেনু ছিলো। প্রথম পাতে ভাতের ওপর ঘি আর সাথে ছিলো চিকেনের পকোড়া।
তাহলে এই গেলো দুপুরের খাবার।
ভোগ চড়ানোর পর বেশ গুছিয়ে বসে চব্য চোষ্য করে পেট ভরে খাওয়ালাম ও খেলাম। বেশ মানবিক লাগছিলো জানেন এই খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারটা। খেতে-খেতেই ফেসবুকে উঁকি দিচ্ছিলাম একটু দেখলাম বেশ কিছু জন এমনই এক রবিবারের মাটন কারির ছবি পোস্ট করেছেন আবার কোনো এক ধর্মপ্রান ব্যক্তির প্রফাইলে গিয়ে ঈশ্বরকে উৎসর্গ করা একটা বলি’র পোস্ট রাগান্বিত হাস্যচিত্র সহযোগে “বিষয়টা অমানবিক” লিখে এসেছেন।
যদিও আমি সেসব মানবিকতার প্রশ্নউত্তরের কচকচির থেকে চিকেনের কচকচি বেশি পছন্দ করি তবুও ব্যাপারটা ভাবাচ্ছে। এটাই ভাবাচ্ছে যে মানবিক ও অমানবিক এই দুটো বিষয় কী করোনা’র মতোই আপেক্ষিক নাকি রবিবারের দুপুরের কচি পাঁঠার ঝোলের মতো চিরন্তন।
যাই হোক আমার মেনুর শেষপাতে মিষ্টি দই কিন্তু ছিলো।
আর হ্যাঁ যেটা বলা হয়নি তা হলো এই যে মেনুটা আজ বানিয়েছিলাম সেটার উপলক্ষটা কিন্তু শুধুই একটা মানবিক রবিবার পালন করা ছিলো। বাকিটা নিন্দুকেরা বলবেন, নিশ্চয়ই বলবেন।