রাত্রি যাপনের দিনগুলি ঠিক অস্তাচলের মতোই থমকে দাঁড়ায়। সময়ের আলগা বাঁধনে স্রোতের ঠিক বিপরীতে বয়ে যেতে চায় অমোঘ ব্যস্ততারা। ক্লান্ত হাত ছুটি নিতে চাইলেও বার বার পিছু টেনে ধরে দায়িত্ব কর্তব্যের প্রতিশ্রুতিরা। তবুও প্রতিটা বিপরীত স্রোতের বিছিন্ন টানে বৈঠা বয়ে চলে নিরলস পরিশ্রমে। কোথাও সূর্য পাটে বসে কোথাও বা পূব দিক আলো করে খিলখিলিয়ে ওঠে আলোক রাশিরা।
ছন্দপতনে তাদের সুর হয়ে সৃষ্টি হয় ছন্দবন্ধনের। হাজারও মন খারাপের বিকেলে জলের কলকলানির সাথে সুরে সুর মিলিয়ে ঝংকার তোলে ভাটিয়ালীরা। সাথে সাথে বৈঠার টানে একে বেঁকে চলে ছোট বৈতরনির পার বেয়ে। যেখানে মৃত্যুর ছোঁয়া বড় আবশ্যক। তবুও কোন এক মায়াবলে মাঝিরা চলে দূর থেকে দূরের প্রান্তে। চারিদিক জুড়ে জলের অপরিসীম ভান্ডার ভেদ করে, শুধুই বয়ে চলে এক অজানার উদ্যেশ্যে…
এ যেন নেশা। এরকমই কোন এক গঙ্গাপারে হয়তো সেই জেলে বউ যে ভীষণ অপেক্ষারত। যার মন জুড়ে কেবলই উচাটন। তবুও সব ভয় জয় করে সেও এগিয়ে দেয় তার পরম মানুষটাকে। আর সে…
সে শুধুই অপেক্ষারত। তার মন প্রাণ শরীর সব জুড়ে কেবলই অপেক্ষা। এও যেন নেশা। কোথাও যেন মৃত্যু কে জয় করে অজানা কে জানার নেশা কোথাও বা কেবলই অপেক্ষা। যেন অন্তমিল। সব কিছুই শুধু, শুধুমাত্রই বেঁচে থাকার ঠিকানা।
যেখানে কান পাতলে শোনা যায়, কোন এক বেড়ার ঘরের ভাঙা রেডিও থেকে অকুল কণ্ঠে বেজে চলেছে …
” কিসি কি মুসকুরাহোটে পে হো নিসার…
কিসি কা দারদ মিল সাকে তো লে উধার…
কিসি কে ভাসতে হো তেরে দিলমে পেয়ার…
জিনা ইসিকা নাম হে……..”