এ এমন কী যে ব্যাধি, জানে না কেউ তাহা
টপটপ করে মরছে মানুষ, জগৎ হচ্ছে ফাঁকা ।
জগৎতের সেই উন্নত এক দেশ, ইতালির শাখাপ্রশাখা,
নেই সেখানে কেউ আর, সড়ক চলছে একা।
চীনের এতে কী বা স্বার্থ, জানে না কেউ তাহা,
চলছে হেঁটে মহামারি, করোনা দিচ্ছে দেখা।
শল্যধারী চিকিৎসকগণ, বাড়িয়ে দেন হাত,
ডাক দিয়ে বলছে হাকিম, এ মানবের দোষ লাগা জাত।
বিদ্যমান ব্যক্তিরা সব ভাবেন ভবিষ্যৎ
তাদের কর্মে পৃথিবী আজ সদাই ধূলিসাদ।
করোনার তরে গৃহবন্দি, স্কুল হয় বন্ধ,
শুরু হয়ে যায় গোলাগুলিতে, পুলিশ-মানুষে দ্বন্দ্ব।
দরিদ্ররা পায় না খেতে, অন্ন হচ্ছে শেষ,
অন্নপূর্ণা করে না কৃপা, এ কেমন আজব দেশ।
গৃহ-স্রোতে আসে করোনা, লক্ষন নেই সারিবার,
বুঝিনা আমি কত বড় এই করোনার পরিবার।
ভীতস্ফীত মানুষেরা সব কারফিউ করে জারি,
তবে এবার বোধ হয় বন্ধ হবে করোনার জুরিজারি।
শ্রম সাধ্য শ্রমিকেরা সব থাকেন সিন্ধু পাড়ে,
ঘরের মানুষ সদাই বসে থাকেন গৃহ দ্বারে।
শরীরের তরে মানব জগৎ হচ্ছে ধরাহীন,
মোর নয়ন তাঁরা কেবল সদাই শ্রদ্ধা-অধীন।
কথায় কথায় বাড়ে করোনা, লোকে বিবাদ গঠন করে,
কঠিনতর সে বিবাদেই মানুষ বসত করে।
মানুষের মন মতিভ্রম বুঝিনা সে সব কথা,
করোনার তরে মানব আজ ছন্দহীন মমতা।
২| বিচ্ছিন্ন প্রকৃতি
আপনারও প্রেমে জাগ সখী
তোমারও গর্ভে সন্তান সব কতই না অসুখী।
ত্রাণের তরে করছে যারা কতই না হাহাকার,
তাদের কথা শোনবার কী, তোমার নেই কো জোগার।
আপন স্রোতে বাহিছ তুমি, নেই কোন তোমার গণবল,
কাতর করেছ তুমি তাদের, এটাই কি তোমার রূপের ছল ?
বন্যার তরে মানুষের সব ভেসে যায় প্রান্তরে,
প্রিয়তমা তুমি কেন সাহায্য করিতেছোনা একান্তরে ?
মুছে নাও তোমার অশ্রুধারা, ক্ষমা করো সেই সব,
যাহারা এমন দুঃখ দিয়েছে তোমায়, তাহারাও এখন নীরব।
মূল্যবোধে বাড়ে কথা, প্রয়োজন নেই কোন তার,
যদিও তুমি খুলবে জানি তোমার সাহায্যের দ্বার।