লেখালেখি সেই ১৯৮৯ সালে কলেজ পত্রিকা থেকে। দেশ, বিদেশের বহু নামী ও সমৃদ্ধ পত্র - পত্রিকায় বহু কবিতা প্রকাশিত। দুটি কাব্য -সংকলন কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত।। "ঊনবিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ কবিতা" ও "একশো কবিতার প্রেম" কাব্যগ্রন্থে বহু নামী ও বিখ্যাত কবিদের সাথে ওনার লেখাও ঠাঁই পেয়েছে।। পরবর্তীতে আত্মমগ্ন কবি অর্বাচীন, দিনাজপুর ডেইলি', দেশ, শিকড়, নাটোরকণ্ঠ, লেখালেখি সব বাংলায় , কৃত্তিবাসী, শহর, ইচ্ছেনদী, সৃজনী, শব্দদ্বীপ, স্বরধনি ছাড়াও আরো বহু পত্র পত্রিকায় লিখে চলেছেন নিরন্তর ।।
ও গঙ্গা তুমি, বইছো কেন!!!
এখন আর পূজো হয় না, নেইও,
তাই কোন কারিগর কাদা মাটি নিয়ে
আর এদিকে আসে না।
কোন সুন্দর ঝকমকে মুখও বানায় না,
টানাটানা চোখও বানায় না,
গুছিয়ে কাপড়ও পরায় না,
আবাহনও নেই তাই পঞ্চামৃত দিয়ে পূজোও হয় না।
তবু বিসর্জন লেগেই থাকে।
গঙ্গার তটে এখন শুধুই মাটি গ’লে গ’লে ঝরছে
আর জলে রামধনু রঙ ক্রমে বিবর্ণ, ফ্যাকাশে হয়ে
ঢেউয়ের সাথে ঘূর্ণিপাক খাচ্ছে।
দূরে দু’ চারটে বিষণ্ণ নৌকা গচকা মারছে।
আরো দূরে যে সাঁকো তার ওপর ঈষৎ কিছু মানুষের আনাগোনা।
ওরা ফিরেও চায় না এদিকে,
গঙ্গার পাড়ে এখন শুধুই খড় আর কাঠ ভাসছে,
উঠছে আর ডুবছে, ডুবছে আর উঠছে,
সারা শরীরে না বস্ত্র আছে না কোন অলংকার,
শুধু খড় আর কাঠ…
ভাসছে…
ডুবছে…
ডুবছে…
ভাসছে….
আর শেষ রঙটুকুও
গ’লে গ’লে ক্রমে বিলীন হচ্ছে….