• Uncategorized
  • 0

ফার্স্ট স্টপ

খামচানো সময়

মাঠের পাশে একটা বাধানো আধমরা আমগাছের তলায় বসে আছেন কবি। মাথায় হাত। গদ্য লিখতে হবে, কবিতাকে মুক্তকেশা বিপাশা বসু বানাতে হবে। এই খামচা খামচা রোদ ছায়ার ভোজবাজি দেখতে দেখতে বিপাশা বসুর কথাই তার মনে এসেছিলো। সেই ‘জাদু হ্যায় নেশা হ্যায়..’। আসলে গানটার ঠিক ভাষাটার জন্য নয়, গানটার একটা আঠালো সুর আছে। এই যেমন আঁটকুড়ো আমগাছটা মরা অবেলায় নইলে পোয়াতি হয় কী করে! দিব্ব দুটো আম ঝুলছে। কিছুদিন পর টপ করে পড়বে আর বোঁটা থেকে রস গড়িয়ে যাবে। আঠালো রস। ওই আঠালো রসের মতো লেগে থাকা সুরে একটা গানটি গাইতে গাইতে বিপাশা চুমু খেয়েছিলো দৃশ্যে। দৃশ্যটি আমায় আকর্ষণ করেনি কোনও কালে এই গদ্য লেখার মতোই। কিন্তু ওই সুরটার জন্য গানটার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি বারবার। যেমন এই যে গদ্য লিখতে বসে দিব্বি গল্প করে যাই, আর তার টানেতেই যত কিছু।
আমতালায় বসা কবিটি এখনও ভাবছে গদ্যকে ঠিক কতটা আঠালো হতে হয়! সামনে তার ঝুলন্ত দুটো আম থেকে একটা হঠাৎ খসে পড়ে গেল। অসময়েই ঝড়লো, পাকেনি। তাই আঠাটাও বেশি গড়াচ্ছে। অসময়ের মতো। এখন গদ্য লেখার সময় নয়। পাকা অবধি অপেক্ষা করতে হবে, নইলে রসভঙ্গ। কবি আমটি তুলে নিলো গদ্য লেখা ফেলে। বোধহয় বাড়িতে নিয়ে গিয়ে চাটনি করে খাবে।
অনন্তদেব বিরূপ।
থার্মোকলের সম্পাদক বানিয়েও
কবি হওয়া যায়
যদি ভেপার আর ভ্যাম্পায়ার চায়,
নইলে সব জল কাটা দই
বুঝলেতো সই!

শাল্যদানী

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।