• Uncategorized
  • 0

গদ্যানুশীলনে অজন্তা প্রবাহিতা (প্রথম অংশ)

গল্প আছে আনাচ কানাচ

ঘড়ির কাঁটা প্রায় সাড়ে এগারোটা ছুঁই ছুঁই করছে।
রান্নাঘরের কাজ সামলে ওড়না দিয়ে ঘাড়ের আর কপালের ঘাম মুছে এককাপ চা নিয়ে বসলো, স্নেহা।
চায়ে চুমুক দিয়ে পাশে রাখা মোবাইলটা তুলতেই দেখে ডোনার তিনটে মিসড কল।
বাপরে, হোয়াটস আপ,ভিডিও, নরমাল কল সব জায়গায় চেষ্টা করেছিল । সব ঠিক আছে তো? যা দিনকাল।
উফফ !! রান্নাঘরে থাকলে ফোনের রিং অনেক সময় শোনা যায় না।যাকগে,কল ব্যাক করতেই অভিযোগের গলায় উত্তর এলো,”কোথায় থাকিস?”
-আরে, রান্নাঘরে ঠুং ঠ্যাং এর আওয়াজে রিং শুনতে পাই নি।
-ধুর বাবা।
-সব ঠিক আছে তো?
-হ্যা! আসলে আজ গোপালকে নতুন জামা পরালাম, তাই দেখাবার জন্য ফোন করেছিলাম। ফেসবুকে ছবি আপলোড করেছি,দেখে নিস। বাড়িতে মিষ্টি নেই, তাই, নকুলদানাই দিলাম। স্যুইগিতে লাড্ডু অর্ডার করলাম ।
কাল লাড্ডু দেবো প্রসাদে, তখন ছবি দেবো আবার। দেখিস।
-আচ্ছা।
– আজ সবাই কী সুন্দর কমেন্ট দিয়েছে।
যা পরিস্থিতি, ফেসবুকটাই একমাত্র ভরসা সবার সাথে আনন্দ ও খুশী শেয়ার করে নেবার।
-হ্যা! একদম।
-রাখছি রে। এবারে বাসন্তী পুলাও বানাবো,ওটার লাইভ করবো,দেখিস।
-দেখবো। বাই।
-বাই ।
২|
বিশ্ব পড়তে বোস। সকালে ম্যাম যা হোম ওয়ার্ক দিয়েছে,শেষ কর।আমি সন্ধে দিয়ে এসে সব চেক করবো।ক্লাস টুতে উঠে পড়লি। এবার আরো বেশি করে পড়তে হবে।
– আমি পড়তে বসবো না।
-কেন রে?অমন মুখ গোমড়া করে আছিস কেন? হোমওয়ার্ক শেষ করে নে, তোকে বাটার ভাত আর অমলেট খেতে দেবো।
– আমার খিদে নেই।
-কেনো রে সোনা?
– তোমরা কত লাকী মা।ছোটবেলায় স্কুল গেছো,বড় হয়ে কলেজে গেছো।কত মজা করেছো বন্ধুদের সাথে।
আমি সেই গতবছর থেকে মোবাইলে ক্লাস করছি,বন্ধুদের দেখতে পাই কিন্তু খেলতে পারি না।অর্ণবের সাথে টিফিন শেয়ার করতে পারি না।আমার ভালো লাগে না। কবে স্কুলে যাবো মা? কবে আবার বন্ধুদের সাথে খেলা করবো?
-জানিনা বাবা। কবে আবার সব স্বাভাবিক হবে।
কবে তোর বাবা কাজে যাবে?
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।