• Uncategorized
  • 0

সাতে পাঁচে কবিতায় পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়

একলা : ১

বইয়ের পাতায় গাল ডুবিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলে তুমি,
সেই পাতা থেকেই নানান পরীক্ষায় উঠে এসেছিল
দুর্দান্ত জলদস্যুর মতন অনেকগুলি প্রশ্ন
বহু সমুদ্র শাসন তাদের রক্তে, তারা রুদ্ধশ্বাস এক
অ্যাডভেঞ্চারের মধ্য দিয়ে ঘাস ও গবাদির মাঝে নিয়োজিত
ঈশ্বরের ক্রোমোজোম খুঁজে পেয়ে উল্লসিত হয়েছিল
তোমার সেই ঘুমঘোরের চুম্বন রয়ে গেল
অদেখা ডুবো-পাহাড় হয়েই
সেখানে অনন্ত ঝড়, অতল জলের ঘূর্ণি –
মধ্যবিত্ত জীবনে আরেকবার আমি অনেক বড়ো নাবিক
হতে চাইলাম, কেননা,
ঝড়কে কখনো দেখিনি আমি
দেখি শুধু ঝোড়ো কাকের একলা হয়ে যাওয়া

একলা : ২

আমার অন্তরে আছে পাঁকাল মাছ
যদি বক এসে খিদে মেটাতে চায়, আমার বুক
দুরুদুরু করবে না; তাকে শুধু বলবো, মাছের মতন
মাছের নামটাও জলে থাকে বলেই পিচ্ছিল
মাছের নাম ভালবাসা হলেও তাকে ধরা কঠিন
উটের খুরের কাদা ধুইয়ে দিতে গিয়ে যখন তার
মুখের মরীচিকার দিকে তাকাবো
উটকেও জানিয়ে দিতে হবে, গোরু না থাকলেও
মরুভূমিতেও গোধূলি থাকে
কুঁজের ভেতর প্রলয়ের পানি আর গিরিগোবর্ধন নিয়ে
উটের পথশ্রমকেও কি বলা যায়, আমার বুকে থিতু হও
ঝড়-জলের অধিক এই একাকিত্বের দুর্যোগে
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *