• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে কুণাল রায় (পর্ব – ৩)

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা

প্রথম অধ্যায় তৃতীয় এবং শেষ ভাগ: অর্জুন বিষাদ যোগ

অর্জুন শ্রী কৃষ্ণকে বললেন যে যুদ্ধক্ষেত্রের ব্যক্তিরা সকলেই তাঁর শত্রু। এদের বধ করলে তাঁরা পাপে লিপ্ত হবেন। তাই দুর্যোধন এবং তাঁর সকল ভ্রাতাদের বধ করা উচিত নয়। আত্মীয় পরিজনদের বধ করে কোনও সুখের ভাগীদার হতে চান না।
পৃথাপুত্র আরও বলেন যে লোভের শিকার হয়ে তাঁর প্রতিপক্ষের বুদ্ধি লোপ পেয়েছে। তাই তাঁরা আজ বুঝতে অক্ষম যে আপনজনদের হত্যা করা শুধুমাত্র পাপ ছাড়া আর কিছুই না। কিন্তু এদের বধ করা যে এক জঘন্য পাপ, এই ব্যাপারে তাঁরা অবগত হবেন না কেন?
বংশ নষ্ট হলে, সকল কিছু যেমন জীবন, আচার ধর্ম লোপ পাবে। কুলধর্ম বিনষ্ট হলে, অধর্ম সকল কিছু গ্রাস করে এবং ধ্বংসকে আহ্বান জানায়।
অর্জুন ভগবানকে আরও বললেন যে বংশে পাপ প্রবেশ করলে, কুলের নারীরা বিনষ্ট হয় এবং এর ফলস্বরূপ মিশ্র জাতির উৎপত্তি হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি যারা বংশ নাশ করে, তাঁরা সকলে নরকে পতিত হন। তাঁদের পূর্ব পুরুষেরাও এর থেকে মুক্ত নন। এক কথায় জাতি, ধর্ম এবং কুল বিনষ্ট হলে, নরকবাস অবশ্যম্ভাবী।
অর্জুনকে এক নৈরাশ্য গ্রাস করল। তিনি বোধ করলেন যে তাঁরা এক গুরুতর পাপে লিপ্ত হতে চলেছেন। সামান্য রাজ্যসুখের কামনায় অন্ধ হয়ে এক মহাধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাই তিনি কোনও রকম চেষ্টা করবেন না। অস্ত্র ধারণ করবেন না। হস্তিনাপুর নরেশের পুত্ররা যদি তাঁকে বধও করে, তা তার কাছে এক পরম প্রাপ্তি। তাঁর পক্ষে এর অপেক্ষায় আর ভালো কিছু হতেই পারে না।
এদিকে হস্তিনাপুরে দিব্যদৃষ্টি সম্পন্ন সঞ্জয় ধৃতরাষ্ট্রকে বললেন যে মহাবীর অর্জুন এই সকল কথার শেষে, গভীর দুঃখে যুদ্ধ করবেন না স্থির করলেন। এবং রথের ওপর বসে এক গভীর চিন্তায় মগ্ন হলেন।

প্রথম অধ্যায় সমাপ্ত

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।