একটা ঘর যেখানে রান্না হয় তার পাশে বসে খাই। খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে সেখানেই একটা মাদুর পেতে শুয়ে পড়ি। মশারী আছে ঢাঙাই। খুব মশা। মাছি পোকামাকড়ও আছে। ফ্যামিলির চার জন। দুটো বিছানা।
তালপাতার পাখাও ছিঁড়ে গেছে। তাই দিয়ে বাতাস খাচ্ছি। দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে। জ্যেঠু এসে বসল ঠিক দরজার সামনে। দরজা বলতে দরজা না।এখন দিয়ে আমরা এই ঘরে ঢুকি বেরোই। আমি বললাম – একটু সরে বস। যেটুকু ছন্নছাড়া হাওয়া আসছিল তাও যে বন্ধ হয়ে গেল।
জ্যেঠু মুখ দিয়ে একটা হতাশার হাওয়া ছেড়ে বলল – সত্যি রে বাপ, যা গরম পড়েছে!
আমি বললাম – কি ভাবছ? কিভাবে চলবে?
জ্যেঠু তার হাত দুটো দেখিয়ে বলল – দেখ না বাপ হাত দুটোতে হাজা। ক্ষয়ে গেছে। তাও চলছিল। এখন যে স্বব্ধ। আর কিছু ভাবার নেই। এ দরজা দিয়ে তবু হাওয়া তো ঢুকছে। কিন্তু জীবন? তার কি হবে?