লোকাল ট্রেনের ভীড় ঠেলে রানু কামরার ভিতর দিকে একটু ফাঁকায় গিয়ে দাঁড়ালো।” আমি আসি ” হঠাৎ মনোময়ের গলা পেয়ে চমকে পিছনে ফিরে তাকালো। মনোময়ের শরীরটা একেবারেই ভালো নেই। কর্কট রোগে ধরেছে। ডাক্তার জবাব দিয়ে দিয়েছে। বুকের ভিতরটা কেমন ছ্যাৎ করে উঠলো রানুর। বাড়ি ফিরে দেখে বারান্দার যে চেয়ারটায় সচরাচর মনোময় বসে থাকে ওখানেই বসে আছে। বেশ সুস্থ লাগছে আজকে। ঘরে ঢুকে কাপড় জামা ছাড়তে ছাড়তে বলে ” কিগো, খেয়েছ কিছু? শরীরটা এখন একটু ভালো লাগছে?…. ” এভাবে নাগাড়ে বকবক করে যেতে লাগলো। বাইরে এসে বারান্দায় তাকিয়ে দেখে মনোময় একদৃষ্টে আকাশের দিকে তাকিয়ে। ” কিগো, শুনতে পারছো না কি বলছি? ” মেয়ে সুতপা এসে দেখে মা শূন্য চেয়ারের দিকে তাকিয়ে বকবক করেই চলেছে।