ছড়াতে বাগধারায় শিলাদিত্য (দ্বিতীয় পর্ব)

জন্ম ১১/১০/৬২, রম্যরচনায় অসাধারণ পারদর্শী, লেখেন রম্য কবিতা এবং ছড়া।
শুনুন সবে গুণীজন..
আছেন হেথায় যারা..
শুরু হলো দ্বিতীয় পর্ব..
“ছড়াতে বাগধারা”।
জেনে রাখুন বউ জব্দ..
হয় যে গোপন কিলে..
ভাঙি যে তার দাঁতের গোড়া..
তারই নোড়া-শিলে..।
আঙুল ফুলে কলা গাছ..
মেঘ না চাইতে জল…!!
জেনে রাখুন বুদ্ধি যেথায়..
থাকে সেথায় বল..।
গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল…
যত রাঘব বোয়াল…
অনেক ভালো দুষ্ট গরুর..
চাইতে শূন্য গোয়াল..।
অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়লে…
কি আর হবে বল্..!!
পড়বে ধরা খাও না যতই..
ডুবে ডুবে জল…।
সেয়ানে আর সেয়ানেতে…
হলে কোলাকুলি…
দুর্গতি শেষ হবে নাকো..
বলছি খোলাখুলি…।
দশে মিলে করি যদি ..
হেন কোন কাজ…
হারি কিম্বা জিতি তাতে..
মোটে নাহি লাজ..।
বামুন যেই ছাড়ে ঘর…
লাঙ্গল তুলে ধর…
কিল খেয়ে কিলকে এবার…
পারলে হজম কর..??
সাপের হাঁচি বেদেয় চেনে…
হরিষে বিষাদ…
জলে থেকে কুমীর সাথে…
করো না বিবাদ…।
উঠন্তি মূলোকে যায়…
পত্তনেতেই চেনা…
ব্যাঙের ঐ আধুলি দিয়ে…
যায় কি কিছুই কেনা..??
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে…
কথা মিছে নয়…
যা সওয়াবেন, সয়ে নেবে…
শরীর মহাশয়…।
রামায়ণ সাতকাণ্ড পড়ে..
সীতা কার মাসি..!!!
বেড়াল বলে আঁশ ছোঁবো না…
এবার যাবো কাশী..!!!
জলে কুমীর, ডাঙায় বাঘ…
ঈশ্বরের কি লীলা..!!
বিনা মেঘে বজ্রপাত…
সাঙ্গ ভবলীলা…।
খড়ের গাদায় সূচ খুঁজতে..
কালি যে হাড় মাস…
কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ…
করবে ট্যাঁসট্যাঁস..।
গোদের ওপর বিষফোড়া…
এতো বড়ই জ্বালা…!!
শুনেছি তো চোরের মায়ের…
হয় যে বড় গলা..।
ওস্তাদের মার শেষ রাতেই…
সবাই ঠেকে শেখে…
ঘর পোড়া গাই পায় যে গো ভয়..
সিঁদুরে মেঘ দেখে…।
দশের লাঠি, একের বোঝা…
গরজ বড় বালাই…
মহাভারত অ-শুদ্ধ হলে…
কি আর করি ভাই..!!!
পোষে কি কেউ কালসাপ..!!
দুধ কলা দিয়ে…???
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে…
ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে…।
সর্বনাশ হলে কারোর…
কারোর পৌষ মাস…
কখনও যেও না খেতে…
ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস…।
কাউকে যদি রাখে হরি…
কে বা তারে মারে…!!
শুনেছি তো পুরোনো চাল…
শুধুই ভাতে বাড়ে..।
কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে…
এটা ক’জন বোঝে…!!
আদা ব্যাপারীর কাজ কিবা..
জাহাজের খোঁজে..??
ঘর শত্রু বিভীষণ…
যদি পাশে রয়…!!
বানরের পিঠে ভাগেও…
আছে যেন ভয়..।
বিনা মেঘে বজ্রপাত…
শিয়রে শমন…
মাথায় আকাশ পড়লে ভেঙে..
কি করি তখন..!!
তীর্থের কাক আর…
তপস্বী বেড়াল…
বুদ্ধির যে বৃহস্পতি…
আলালের দুলাল..।
যার ভয়েতে বাঘে-গরুতে…
এক ঘাটে খায় জল..
তেলা মাথায় দিলে যে তেল…
মেলে নাকো ফল…।
অকর্মার ঢেঁকি হলে…
হবে চরম ক্ষতি…
সর্ব ঘটে কাঁঠালি কলাই…
অগতির গতি…।
‘ক’ অক্ষর গো মাংস…
তবু মানা যায়..
অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী…
সামলানোই দায়..।
লাগলে তুক, না লাগলে তাক…
এতো জানা কথা..!!
তাসের ঘর পড়লে ভেঙে…
মনে লাগে ব্যথা…।
দুরাত্মার ছলের অভাব..
কখনো না হয়…
কত শত বক ধার্মিক ..
সাধু সেজে রয়…।
বামন হয়ে চাঁদ ধরা কি…
বলো অতই সোজা..!!!
ঢাকের দায়ে মনসা বিকোয়..
বাড়লে ঋণের বোঝা..।
বানের জল কি রুখতে পারে..
দিলে বালির বাঁধ…??
দেখা কি যায় ডুমুরের ফুল…!!
অমাবস্যার চাঁদ…??
দু’কান কাটা রাস্তা দিয়ে…
মাঝামাঝিই যায়…
গতস্য শোচনা নাস্তি…
কি হবে উপায়..!!
কান টানলেই আসবে মাথা…
সাবধানের নেই মার..
ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি…
হলাম পগার পার…।
অনেক হলো, এতেও যদি…
না ভরে গো মন…
ডাক ছাড়বো এবার আমি..
ত্রাহি মধুসূদন…।।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।