|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় প্রান্তিক বিশ্বাস
by
·
Published
· Updated
স্বপ্নভঙ্গ
ঘোষবাবু চোখদুটো বুজেই রইলেন। যদিও ঘুম ভেঙে গেছে। গত সাতদিন ধরে একই স্বপ্ন দেখছেন। খালি আগের রাতে যা দেখেছেন, পরের রাতে সামান্য বেশি। এতেই সমস্যা! আরও কিছু যেন ঘটবে। অথচ রোজই ঘুম ভেঙে যায়, বাকিটা দেখা হয়না।
প্রথমদিন দেখলেন জ্যোৎস্নায় ভরা নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছেন। পরদিন একজন ঘরে ঢুকল। চাঁদের আলোয় মুখোশপরা চেহারাটা আবছা চেনা লাগল। পরদিন, সেই লোকটা পকেট থেকে একটা চাবি বার করল। চিন্তায় পড়ে গেলেন ঘোষবাবু। তিনি রিটায়ার্ড, নিঃসন্তান, বিপত্নীক। পুঁজি একমাত্র এই দোতলা বাড়ি। প্রোমোটার পেছনে লেগেছে, কিন্তু তিনি মনস্থির করেছেন দান করবেন।
পরেরদিন দেখলেন লোকটাকে স্টিলের আলমারিটা খুলতে। পরশু রাতে, বাড়ির দলিলটা বার করল। আর থাকতে না পেরে একমাত্র ভাইপোকে খবর দিলেন। সে ব্যস্ত, কথা দিল উকিল নিয়ে দুদিন বাদে আসবে। বলল, ঘুমের ওষুধ খেতে।
গতকাল কেমন যেন চমকে উঠল লোকটা! ওনার ঘুম ভেঙে গেল বুঝেই কি? ঘোষবাবু আশ্বস্ত হয়ে আজ ঘুমোলেন। কিন্তু এইমাত্র লোকটার হাতে একটা ব্লেড, চাঁদের আলোয় ঝিলিক দিল। ওনার গলার উপর নিখুঁতভাবে চালাল। রক্তে ভেসে গেল বিছানা। চলে যাওয়ার সময় মনে হল পা’টা একটু টেনে হাঁটে। ওঁর ভাইপোর মতন।
নিথর প্রাক্তন দেহটা দেখে অশরীরীর স্বপ্নভঙ্গ হল আজ।