সাতসকালে হঠাৎ কলিং বেলের আওয়াজে মানিকদা অবাক হয়ে ভাবলেন-কে এলেন?
দরজাটা খোলাই ছিল। মানিকদা এগিয়ে আগন্তুককে ঘরে ডেকে নিলেন। তিনি ভাবতে পারেন নি- শীর্ণকায় যুবকটি একটা আচমকা প্রশ্ন করেছেন। গম্ভীর গলায় মানিকদা বললেন-এই ধরনের প্রশ্নের অর্থ কি?
ছেলেটিকে দেখে বোঝা যায় না। বেশ-ভূষা বা শারীরিক পরিকাঠামোয় এতো কঠিন প্রশ্নে জর্জরিত করতে পারে।
-কি যেন বলছিলেন অর্জ্জুনবাবু?
-রবীন্দ্রনাথ-বিদ্যাসাগর বা অধুনা কবি সাহিত্যিকদের যুগের অবসান ঘটে গেছে কি?
মানিকদা বুঝতে পারলেন অর্জ্জুনের প্রশ্নটা যত সহজ, উত্তর দেওয়াটা ততোধিক কঠিন।
-কেন তৎকালীন প্রথা-ব্যাবস্থা কি আজো বিদ্যমান?
অর্জ্জুন অল্প হেসে বললে-হা।
-কেন?
-আজো মেহনতি মানুষ অবহেলিত। কুসংস্কার জাত-পাত তাও আছে। তারপর ধরুন আপনার অরন্যের দিনরাত্রি, অপ্রতিদ্বন্দ্বী সবই শিক্ষিত বেকারের নির্মম জ্বালায় জর্জরিত।
মানিকদা বড্ড বেশি চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তারপর বললেন-কি করা যায় বলো তো?
অর্জ্জুন কিছু না ভেবে বলে ফেললো-২রা মে, ২০২১ আপনার জন্মশতবর্ষ। আর একবার পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়ে; ঠিক যেখানে শেষ হয়েছিলেন, সেখান থেকে পথ চলা শুরু করলে ভালো হয় না?