• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় ভক্ত গোপাল ভট্টাচার্য

মা

কখনো নিজের অবস্থার জন্য সামান্যতম কোনো সুবিধা গ্রহণ করেন না, গলার স্বর স্বচ্ছ, সাধারণ কথা খুব জোরে বলেন না।
কেউ যদি মুশড়ে পড়ে মা সেটা শুনতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কাছে ছুটে যায়।
কিভাবে উপকারে লাগে চিন্তায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন একদিন মাকে বললাম মা মাঝে মাঝে অসুস্থতাকে খুঁজে বের করতে পারছিনা, কোনোদিন হয়তো বিছানায় যেতে বাধ্য করতে পারে। এই ইচ্ছা কোনো সময় আমায় গ্রাস করতে পারেনা পিছু হটে, মুখ্য কারণ “মা” কত স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করেন, আলোকিত শোওয়ার ঘর থেকে বেরিয়ে চলে আসেন রুগীর ঘরের গোধূলি আলোয় কিংবা রাত্রির অন্ধকারে। যখন দিন তার একঘেয়েমি দুর করার জন্য রাত্রিতে রুপান্তরিত হয়, তাঁর ব্যস্ততা ও কাজকর্ম থেকে, যা আবার তাকে দিনের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়, নিজেকে মুক্ত করে ফেলেন, এই ভেবে যে, এটুকু আজ নয় কেননা খুব দেরি হয়ে গেছে। কখনো ভাবেননা অক্ষমতাকে জাগিয়ে ব্যস্ততা থেকে মুক্তি দিতে। মা যা করেন তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বৃদ্ধের প্রগঢ় সুক্ষ্ম খুশিতেও শিশুর মত।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *