দু-দুটো শপিংমল পাশাপাশি, প্রতিমাসেই অফার আর বিটিরোডের মোড়ে বন্ধুর ছোট মুদি দোকান,যাদব স্টোরস । ওই পথ দিয়েই মাছ কিনতে যেতে হয় ।আর গেলেই ডাকে ।ওর কথায় তাচ্ছিল্য মেশানো না শুধুই উপহাস বোঝা যায় না । অবশ্য তাতে আমার রাগ হয় না, তবে বাল্যবন্ধুর তাচ্ছিল্য ভরা উপহাসটা মনে এসে লাগে ।ও বলে জিনিস না কিনিস একটু বসে যা, নাহয় একটু চাই খেয়ে যা ।খেতে খেতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথা শোনায় হেসে হেসেই বলে ।ওর বলাটা মানায়। হাজার হোক বাল্যবন্ধু তো ।ওকে বোঝাই মেয়ে এখন মাসের মালটা স্পেনসার থেকে কিনে আনে ।কিন্তু একটা সময় বন্ধুর বাবার দোকান থেকে জিনিস কিনব বলেই দুটো দোকান পেরিয়ে আসতাম ।তখন তো ছোট ।কিছুদিন আগেও যখন দু-দুবার কারখানা বন্ধ হল, তখন ওই ভরসা দিয়েছিল। নাহলে চার-চারটে পেট ।ধার না দিলে চলত ।কে দেবে ।তোদের শপিং মল ।মেয়ে তখন কিছু বলে না ।ছেলে নতুন চাকরি পেয়েছে ।রিলায়েন্স ফ্রেশ- এ শুনে খুশি হল ।কিছুক্ষণ বসে দেখলাম কত কাস্টমার দু টাকার হলুদ ,পাঁচটাকার পোস্ত, একশ তেল ,দুটো ডিম। সাকুল্যে ত্রিশ টাকার কেনাকাটা করে নিয়ে যাচ্ছে ।মনে পরে গেল কারখানা বন্ধের সময়ের ছবি ।এখন সময় ফিরেছে ।ছেলে মেয়ে চাকরি করছে ।কিছু বলতে পারিনা, কথায় কথায় ওকে বলি, দুটো শপিং মল তারপর অনলাইন শপিং তোর দোকানে প্রভাব পরছে না ।ও হেসে উত্তর দেয় বলে শোন শপিংমল যেমন থাকবে ,তেমনি আমাদের মত দোকানও থাকবে ।দেখলি না এই লোকগুলো কোথায় যাবে ।বাড়ি ফিরে আসি । রাতে মেয়ে স্পেশাল ডিশ বানায় ইটালিয়ান পাস্তা । খেতে খেতে বন্ধুর কথা মনে পরে যায় । শপিংমলে কি সবাই যায় । আর ছোট মুদি দোকান না থাকলে এরা কোথায় যাবে বলত ।