|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় নির্মাল্য ঘোষ
by
·
Published
· Updated
ভরসা
নববর্ষের সকালে ভোরবেলা ঘুম ভেঙ্গে গেল ব্রততীর। দোতালার জানলার কাঁচের ওপর থেকে পর্দাটা সরিয়ে দিয়ে নীচের দিকে নজর দিল সে। চেনা রাস্তাটাকেও অচেনা মনে হচ্ছে। অন্যরকম মনে হচ্ছে। আকাশে সূর্য লাল আবির ছড়াতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে – মুগ্ধ হয়ে দেখছিল ব্রততী। একটা খুব ভালো লাগা স্বর্গীয় অনুভূতি হচ্ছিল তার।
ধীরে ধীরে ব্যালকনির দিকে এগিয়ে গেল সে। ব্যালকনির টবে তার লাগান বিভিন্ন পাতাবাহার আর ফুলের গাছগুলো যেন তাকে একরাশ হাসি দিয়ে অভ্যর্থনা জানাল। খুব আলতো করে হাত দিয়ে গাছের পাতাগুলো স্পর্শ করছিল ব্রততী। মনে হচ্ছিল ওরা কত আপন- কত সজীব – কত অনুভূতি প্রবণ। খুব ভালো লাগছিল ব্রততীর। মনে হচ্ছিল ওদের নীরব ভাষা সে বুঝতে পারছে।
কাল যখন অতীনের সঙ্গে তার ডিভোর্স ফাইনালি হয়ে গেল, খুব ভেঙ্গে পড়েছিল সে মানসিকভাবে । যদিও কাউকে বুঝতে দেয়নি মনের অবস্থা । ভেবেছিল – এবার? বাকি জীবনটা?
কিন্তু, আজকে নববর্ষের সকালে যে প্রেম তার দেহ মন ছুঁয়ে গেল – এ যেন অনাস্বাদিত! সহস্র দ্বার যেন তার সামনে খুলে গিয়েছে। কে যেন এক ভরসার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তার দিকে – অবলীলাক্রমে!