পাক্ষিক কবিতা প্রতিযোগিতা পর্ব – ৩৩
বিষয় – বাঙালির ভ্যালেন্টাইন
কুসুমে-কাঁটায়
না,প্রতিদিনের নিদ্রা-বিনিদ্রায়
আমার যুদ্ধের কাহিনী
আর ভাল লাগেনা!
প্রতিদিনের পথ চলায় হোঁচট
খেতে খেতে আর
শুনতে ইচ্ছে করেনা
” কারো পথই কুসুমাস্তীর্ণ নয়! ”
প্রতিদিন তোমার কঠিন
কিংবা হতাশ চোখে
একটা আধপচা আধমরা
সরিসৃপ-ইতর সমাজের
ছবি দেখতে দেখতে ,
রেগে উঠতে বা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে
ঘৃণায় কুঁচকে ওঠা নাকের ভাঁজে
নিজেকে দেখে আমি বিরক্ত!
এত কুৎসিত পৃথিবীর বুকে
কেউ কান পাতে না,
এই বিভীষিকার সমুদ্রে
কান্নার নোনা গানও পচে যায় !
এত বিভৎসার জঙ্গলে কখোনো শেষ না হওয়া
পার্থেনিয়াম উপড়াতে উপড়াতে হঠাৎ,
নিড়ানি ছুঁড়ে ফেলে বাঁশি শুনবো আমি !
পাহাড়ি জলতরঙ্গের প্রবল কোলাহলে
চিৎকার করে বলব
“হে সুন্দর! আমায় বুকে টেনে নাও! ”
প্রবল ঘৃণায় , ঘৃণার থেকে সরিয়ে নেবো মুখ।
এ পৃথিবী কেবল আঘাত
দেওয়া-নেওয়ার নয় হে পার্থ!
এ পৃথিবী উপলব্ধির!
এক জীবনে পার্থেনিয়াম উপড়ানো শুধু নয়,
ফুল চাষ করাও জরুরি!