ভরদুপুরে মাংসের ঝোল ভাত খেয়ে মনে হেব্বি ফুর্তি এলো। সকলেই জানেন যারা আমার লেখা পড়েন যে আমি উন্মাদ, মুরারি জ্যেঠু আদরে খ্যাপা বলে ডাকে। আবেগ আমার ঠোঁটের খাঁজে। বকাও খাই প্রভাত জ্যেঠু, মুরারি জ্যেঠু বা অতনুদার কাছে। তবু বলে না স্বভাব যায়না মলে, আর ইজ্জত যায় না ধুলে। এই দেখুন মাথায় আবার পোকা নড়েছে। টাইপ করতে বসেছি। যাইহোক ভণিতার ভনভনানি বন্ধ করে আসল কথায় আসি।
বাংলায় ১০০ ম্যাগাজিন ছিলো, ১০০ ম্যাগাজিন গজিয়েছে আরো ১০০ ম্যাগাজিন গজাবে। তাতে আমার কিছুই না। তবে দুখান কথা আছে। আজ কথাগুলো বলবো আমার মত নতুন লিখতে আসা অকবিদের। কবিরা দূরে থাকুন দুধেভাতে। ব্যাপার খানা হচ্ছে ওই দইজমা কনসেপ্ট নিয়ে। এক এক খানা এঁড়ে কনসেপ্ট আর তাদের নিজস্ব পত্রিকা। কোনোটি ওয়েব কোনোটি আবার ছাপার পথে। আচ্ছা কজন আমরা সেই কনসেপ্টিয়া ম্যাগাজিনে লেখা পাঠানোর আগে সেই কনসেপ্টগুলো খুঁটিয়ে পড়ি? আমি বলছি পড়ি না, আর পড়লেও তা ভাষা ভাষা। আর ওইখানেই ওই ব্যবসায়ী ঠিকেদারি কনসেপ্টগুলি আমাদের কাঁধে চেপে দিব্বি সোওয়ার হয়ে নিজেকে কামধেনু বানায় আর সেই ইজিম বা কনসেপ্টের জনক তখন আমাদের দেওয়া প্রশান্তির ইজিচেয়ারে চেপে মনে মনে নোবেল নেন রোজ একটা করে।
ভাব ভাই/বোন ভাব। কারুর হাতের বোড়ে হয়ে কি লাভ। লিখতেই যদি এসেছিস তবে বেরঙে লেখ, কারুর রং মাখিস না। তুইতো তোর মতই সেরা। কে তোর লেখাকে উত্তীর্ণ বললো, আর কে অনুত্তীর্ণ তা ভেবে কি হবে ভাই।
বেসিক্যালি আপডেটেড কবিতা বা লেখায় ভরসা রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। ইজিম/কনসেপ্টকে কি পড়বি না তাহলে? পড়বি, তবে কাজ বা লেখা বা সিরিয়াসলি পড়ার সময় নয়। যখন ঘুম আসছে না তখন পড়বি দেখবি ঘুম চলে আসবে।
লেখা ছাপানোর প্রলোভন পাবি। গতকাল আমিও পেয়েছি। ভেবে দেখবি বারবার সে তোকে বা তোর লেখাকে নিজের ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠার জন্য ইনভেস্টমেন্ট বানাচ্ছে নাতো? কবিতা বা গদ্য লেখা ছেড়ে একজন মানুষ কখন দার্শনিক হতে চায় ভেবে দেখিস। বাদবাকি যা যা বলে তা বাতেলা। পাত্তা দিসনা। তোকে জেলের থেকে মুক্ত করে গৃহবন্দি করাটা কি মুক্তি দেওয়া?
দুদিনের লিখতে আসা ছেলে মেয়েদের অত ভয় কিসের? কেন বারবার শোনাতে হয় যে তারা নাকি যুগাবতার লিখিয়ে? ওরা কি কোনোদিন শুরু করেনি নাকি জন্মের আগে থেকেই লিখে আসছে?
যাইহোক কে কোথায় লিখবে তা তাদেরই ব্যাপার। আমি শুধু বলছি কোনো ইজিম বা কনসেপ্টের( ধারকর্জ করা) ম্যাগাজিন গুলোতে না লেখার চেষ্টা করবি। ওদের হাত শক্ত করে সাহিত্যজগতকে বন্দীঘর বানানোটা আমাদের জন্য বা আমাদের পরের জেনারেশনের জন্য ক্ষতিকারক। বাংলা সাহিত্যকে একপা এগিয়ে দিতে পারে আমাদের একটা সিদ্ধান্ত।
আপডেটেড লেখ, আপাডেটেড ভাব। পৃথিবীর সব দরজা খোলা থাকবে তোর-আমার জন্য