একটা বাঁক নিলাম
গাঢ় অন্ধকারে কাঁপছে হলুদ তারাগুলো
আমি কাঁদছিলাম
কিছু উপদেশ কিভাবে এক নারীকে বাঁচিয়ে দিতে পারে
ছবি বদলে যায় এবং নারী স্পষ্ট বুঝতে পারে
এই ঘন রাত, এই ধ্যানমৌন প্রহর সবই এক মায়া
সপক্ষ বা বিপক্ষের সমস্ত আলোচনাই এখানে থেমে ছিল
আমি কি তোমায় ভালোবাসিনি, এই প্রশ্নও
প্রকৃতির অন্তর্নিহিত ইশারার উৎস থেকে উঠে আসা ইচ্ছেগুলো
অস্ফূটে শব্দের লিপি এঁকে যায়
আমি কি খেলি নি ভাষার সেই কোমল খেলায়?
খেলেছিই তো
যাবতীয় দুনিয়াদারির পূর্বশর্ত এই খেলা
এই উনুন বাসনকোসন ঝাড়ন বিছানা বা বিয়ে
তরঙ্গায়িত হয়ে আছড়ে পড়ছে আমার ভালোবাসার পৃথিবীতে
আমি এবং অনেকরকম আমি অনন্ত ঘুরতে থাকি
তবু কখনো ছুঁতে পারি নি এই চিরন্তন সকাল
এক অসহায় নারীর ভাঙাচোরা হৃদয় রেখে দাও
অথচ পৃথিবী এক স্বর্গ, আকাশও তাই
আর বানজারা শুধুই পথ হাঁটে
ঝিনুকের গান
আমি একটা কাঁটার মালা পরেছিলাম
ভেবে ভয় পাচ্ছি এখন
একটা আস্ত মগজের মালাও পরেছি
সে আমায় আদেশ করেছে অস্ফূটে
আমি আর কোন বেফাঁস কথা বলি নি
রেয়াত করি নি কোন মিথ্যাকেই
নারীকে বলেছি ঝেড়ে ফ্যালো আত্মগ্লানি
পুরুষকে বলেছি শান্ত হও কিছুক্ষণ
চোখ ভরে দ্যাখো শিশুর শোভা
যা অসম্ভব তা নিয়ে দানবেরা যেন আমাদের তাড়া না করে
মিনার থেকে কবিতা ভেসে আসছে
আমার গান শেষ না হওয়া পর্যন্ত সৃষ্টিতে সবই ক্রিয়াশীল ছিল
বন্য প্রাণীদের জন্য কিছু ছিল না এখানে
এর চেয়ে আনন্দেরও কিছু নয়
কোন মিথ্যা ছিল না
চেপে রাখা সব দুঃখকে আমি চলে যেতে বলেছি
ঝিনুকের খোলে মুক্তোর কাছে
এই গান গেয়ে
আমি সব বেদনার স্মৃতিকে বিদায় জানিয়ে এসেছি