আজ আমি ফুলকে নীরব হতে বলি,
মানুষ নিরব হয়ে, ফুল প্রতিবাদী হয়েছে
বলে আমার অন্তরে অনন্ত ব্যথা।সে ব্যথায়
আমি ঞ্জানশুন্য হয়ে শেষমেশ ফুলকেই
গালমন্দ করি!ফুলকে গাল দেওয়াও সহজ।
যেভাবে সহজ হয়েছে মানুষের নীরবতা,আমি
নিত্য দিন ভাবি নির্জন নদী তীরেও ঘুরে বেড়ায়
কাপুরুষ!
লোকে এখন ফুল দিয়ে অন্যের ঘর ভাঙে! তাই
তোমাকে আমি ফুল দেব না,দেব অনন্ত বিষাদ!
তুমি সেই বিষাদ সারা অঙ্গে লেপে দেখবে মানুষ
ভাতের বদলে চা ফুল খাবে,কিডনি বেঁচবে!নিজের
বউকে অন্যের ঘরে পাচার করবে।
আমিও সেই বিষাদের জ্বরে ফিরবো তোমার ঘরে।
তুমি বরণের ফুল মালা নেবে যখনি তোমার হাতে
তখনি মদনটাক এসে বসবে তোমার বারান্দায়!
মোহনচুড়াও কী উড়ে আসতে পারে?পাখিদের
ঘরে ফেরা এখন মনে রাখে দু চারজন মানুষ।
তুমিও মনে রাখো, আমি কখনোই ফুলকে
বাঙ্ময় হতে বলিনি কখনো,বলি মানুষই সরব
হোক।মানুষ সরব হলে, তবেই তাকে মানুষের
মতো মানায়।যেমন ফুলেরা নিরব হলে তাদের
মানায় বাগানে।
পাখিরা সরব হলেই ভালো লাগে ভোর।সেরকম
এক ভোরে তোমাকে পাঠাবো গোলাপের বনে,
তুমিও বুঝবে প্রকৃত গেলাপ খুঁজে নিতে হলে
কতটা গোলাপ গন্ধের হৃদয় চাই।