১
অথচ যারা ঝাঁপ দিল মৃত্যুর এই প্রান্তে , তারা হয়ে উঠল এক – একটা গাছ । তাদের গলে যাওয়া কবর থেকে জন্ম নিল আদিম লতা-গুল্মেরা । কিন্তু , আমরা তাদের খরগোশের চোখে দেখে এসেছি , জেনে এসেছি সবচাইতে রুগ্ন ঘেয়ো কুত্তার মতো বিষাক্ত হয় তারা । মৃত্যুপিয়াসী …
প্রতিটি মানববোমা আসলে বৃহত্তম দেশপ্রেমিক ।
২
অথচ সবাইকে বলা হয়েছিল আমরা কলমের ডগায় নিয়ে বেরিয়েছি রক্ত । প্রতিটা কবি লিখে গেছে মৃত্যুমূখী ট্র্যাস । তবুও আমরা সভ্য হতে চাইতাম । আমরাও চাইতাম সুস্থ হওয়া জীবের মতো সহাবস্তানের ভিত্তি । বকের মতো একটা জীবন ছিঁড়ে বেরিয়ে যেতে চাইতাম একটা ধানক্ষেতে । মৃত্যুর উপর দিয়ে উঠে ।
রাষ্ট্রের রক্তের উপর থুতু ছেটানো আমাদের উদ্দেশ্য ছিলনা কোনোদিন ।
৩
যারা পাতার পর পাতা লিখে গেল রক্ত , তাদের কথা বারবার বলা হল পাতায় – পাতায় । যাদের মাংস , হাড় নিয়ে তৈরী হল দীর্ঘজীবী মাটি , তারা আলাদা হয়ে রইল পাথরের স্তরে । রক্তের ওপর যা কবিতা লেখা হল , তা পড়ে রইল এককোণে , মৃত্যুর মতো । মিছিল হল , লেখা হলো একের গান । লিখতে , গাইতে , পড়তে , শুনতে আমরা বড় হলাম । কাগজের উপর নিয়ে বসলাম মিলন , নীচে বিদ্রোহ ।
রাষ্ট্র ইতিহাসে লিখে গেল রক্ত , কবিরা লিখলো মিলন , বিদ্রোহ ।